উবার মোটরসাইকেল চালক সুমন আটক
সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহত হওয়ার ঘটনায় উবার মোটরবাইক চালক সুমন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে আমাদের সংবাদদাতা জানান, আজ (২৬ এপ্রিল) ভোররাত দেড়টার দিকে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের তত্ত্বাবধানে তেজগাঁও বিভাগের একটি দল মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিং এর ২ নং রোডের ২৫ নং বাসার ছয়তলা থেকে উবার বাইক চালক মো. সুমন হোসেনকে আটক করে।
সেই বাসার নিচতলার গ্যারেজ থেকে ফাহমিদা হক লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটর বাইকটিও (ঢাকা মেট্রো হ ৩৬-২৩৫৮) উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত উবার চালক সুমন পুলিশকে জানান, “ঘটনার দিন (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কলেজ গেটে অবস্থানকালে তার থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থানকারী একজন উবার কলার (ফাহমিদা হক লাবণ্য) এর কল পেয়ে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে সুমন তাকে ফোন দেন। লাবণ্য খিলগাঁও ছায়াবীথি মসজিদের সামনে যেতে চান জানিয়ে সুমনকে শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে আসতে বলেন।”
“শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে লাবণ্য বাইকে উঠেন। রাস্তায় যানজট ছিলো। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র একজন লোককে বাইকের সামনে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখে ব্রেক কষেন। ফলে লাবণ্য মোটরবাইকের ডানদিকে পড়ে যান। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়।”
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাইকচালক সুমনের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি চালক হিসেবে তার অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিলো কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, নিহত ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাসা শ্যামলী ৩ নং রোডে।
দুর্ঘটনার পর পথচারীরা লাবণ্যকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকেই তাকে বহনকারী মোটরবাইক চালক সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মোটরবাইকসহ তিনি পালিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার সময় তিনি ভুল ঠিকানা উল্লেখ করে।
মোটরবাইকটি কেনার সময় এবং উবারচালক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সময় তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন তা সঠিক ছিলো না। বর্তমানে সুমন শেরেবাংলা নগর থানার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
Comments