‘ইরানের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে’
মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত হরমুজ প্রণালীতে ঢুকতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুমতি নিতে হবে ইরানের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে। এমন হুমকি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
গত ২৪ এপ্রিল ‘স্পুটনিক’-সহ রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফের বক্তব্যটিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে।
খবরে প্রকাশ, নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জারিফ বলেন, “পারস্য উপসাগর সবার জন্যে উন্মুক্ত রাখা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা হরমুজ প্রণালীও উন্মুক্ত রাখতে চাই। আমরা এটি আগেও উন্মুক্ত রেখেছি, ভবিষ্যতেও থাকবে।”
“তবে, যুক্তরাষ্ট্রের জেনে রাখা উচিত- তারা যদি হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাদেরকে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস করপোরেশনের (আইআরজিসি) সঙ্গে কথা বলতে হবে। কেননা, আইআরজিসি এই প্রণালীর নিরাপত্তা দিচ্ছে।”
গত সপ্তাহে ইরানের সেনাবাহিনীর অংশ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস করপোরেশনকে (আইআরজিসি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরদিন প্রতিশোধ হিসেবে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
ইরানের তেল বিক্রির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জারিফ বলেন, “আমাদের বিশ্বাস ইরান তেল বিক্রি চালিয়ে যাবে। আমরা নতুন নতুন ক্রেতা খুঁজছি। আমরা আমাদের তেল বিক্রির পথ হিসেবে হরমুজ প্রণালীকে নিরাপদ রাখার কাজ চালিয়ে যাবো।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকির সুরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের তেল বিক্রিতে বাধা দিতে চায় তাহলে এর ফলও তাকে ভোগ করতে হবে।”
বিশ্বের মোট তেল পরিবহনের ২০ শতাংশ এবং জাহাজ-ভিত্তিক তেল সরবরাহের ৩৫ শতাংশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে হয়। ইরান সবসময়ই হুমকি দিয়ে থাকে যে তার তেল বিক্রিতে বাধা দেওয়া হলে দেশটি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিবে।
Comments