শ্রীলঙ্কায় সন্দেহভাজন ইসলামিক জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলি, শিশুসহ নিহত ১৫

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে সিরিজবোমা হামলায় ২৫০ জন নিহতের ছয়দিন পর দেশটির পূর্ব উপকূলের একটি স্থানে রাতভর গোলাগুলির পর ছয় শিশুসহ ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেদেশের এক সেনা মুখপাত্র।
Sri Lanka Shootout
২৬ এপ্রিল ২০১৯, শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে গির্জা ও হোটেলে সিরিজবোমা হামলার পাঁচদিন পর গতকাল জুমার নামাজের সময় কলম্বোর এক মসজিদের সামনে দেশটির বিশেষ টাস্কফোর্স সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে সিরিজবোমা হামলায় ২৫০ জন নিহতের ছয়দিন পর দেশটির পূর্ব উপকূলের একটি স্থানে রাতভর গোলাগুলির পর ছয় শিশুসহ ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেদেশের এক সেনা মুখপাত্র। 

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, গতকাল (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই সিরিজবোমা হামলায় আক্রান্ত স্থান বাত্তিকালোয়া শহরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আম্পারার সেইন্থামারুথু এলাকায় দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্দেহভাজন ইসলামিক জঙ্গিদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। 

এতে তিন সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারীসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক মুখপাত্র।

সেনা মুখপাত্র সুমিত আতাপাত্তু এক বিবৃতিতে জানান, সেনা সদস্যরা একটি বাড়িতে ঢুকতে গেলে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে এবং গোলাগুলি শুরু হয়।

তিনি বলেন, “ওই বাড়িটিতে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিলো এবং সেনা সদস্যরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করে।”

সেখানে থাকা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সবাই ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের (এনটিজে) সদস্য, গত রোববারের ওই হামলায় যে গোষ্ঠীটি জড়িত বলে দায়ী করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার সরকার বলছে, ইস্টার সানডের হামলাকারীদের মধ্যে একজন যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করেছে। উচ্চশিক্ষার জন্য এরপর সে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলো। সংখ্যায় এরা ছিলো মোট ৯ জন। তাদের মধ্যে নারী একজন।

গতকাল দেশটির রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বলেছেন, চার্চ ও হোটেলে হামলার ঘটনায় তথাকথিত মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৪০ জনকে খুঁজছে পুলিশ।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৭৬ জনকে আটক করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। যাদের মধ্যে সিরিয়া এবং মিশরের নাগরিকও রয়েছেন। 

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

3h ago