মাশরাফির জন্য হলেও বিশ্বকাপ স্মরণীয় করতে চান মুশফিকরা

টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলবেন টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে। ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজারও এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ এবং নিশ্চিতভাবে শেষ বিশ্বকাপও। এই বিশ্বকাপের মধ্যে দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার গুঞ্জন আছে। বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়কের এমন বিদায়ের সময় বিশ্বকাপটা আলাদা করে স্মরণীয় করতে চান মুশফিকুর রহিম।
Mushfiqur Rahim
ফাইল ছবি: বিসিবি

টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলবেন টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে। ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজারও এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ এবং নিশ্চিতভাবে শেষ বিশ্বকাপও। এই বিশ্বকাপের মধ্যে দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার গুঞ্জন আছে। বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়কের এমন বিদায়ের সময় বিশ্বকাপটা আলাদা করে স্মরণীয় করতে চান মুশফিকুর রহিম। 

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে বলা হচ্ছে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল। স্কোয়াডের অন্তত ছয়জন আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পার করে দিয়েছেন দশ বছরের বেশি সময়। এরমধ্যে পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের ম্যাচ খেলা, অভিজ্ঞতার ঝুলি আরও পোক্ত। একসঙ্গে মিলে একশোটির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তারা।

মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিম, মাহমুদউল্লাহ- এই পাঁচজনকে ধরা হয় বাংলাদেশ দলের মেরুদণ্ড। এবারের বিশ্বকাপেই তাদের একসঙ্গে শেষবারের মতো খেলতে দেখা যাবে। শেষ মঞ্চটা রাঙাতে তাই আলাদা কিছু করার তাদিগ বোধ করছেন মুশফিক,  ‘বিশ্বকাপ সবচাইতে বড় মঞ্চ। এখানে সবাই পারফর্ম করতে চাইবে। মনে হয় এটাই একসঙ্গে হয়তবা আমাদের (পাঁচ সিনিয়র) শেষ বিশ্বকাপও হতে পারে। মাশরাফি ভাই যদি এরপরে আর বিশ্বকাপ খেলতে না পারে এটাই আমাদের এস সঙ্গে শেষ বিশ্বকাপ। তো আমরা সবাই চাইবো মাশরাফি ভাইয়ের জন্য হলেও যেন বিশেষ কিছু করতে পারি। যেটা কি না স্মরণীয় হতে পারে। আমার মনে হয় এটা অবশ্যই অনেক বড় সুযোগ।’

এর আগের তিন বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচ খেলে চার ফিফটিতে মোট ৫১০ রান করেছেন মুশফিক। তার ক্যারিয়ার গড়ের (৩৪.৫৬) চেয়ে কিছুটা কম বিশ্বকাপের গড় (৩১.৮৭)। আগে যা করেছেন এবার বড় মঞ্চে সব ছাপিয়ে নতুন উচ্চতায় উঠার প্রত্যাশা তার, ‘অবশ্যই। এমন একটি বড় ইভেন্টে সবাই চায় প্রভাব রেখে খেলতে। তো আমার মনে হয়, আমিও ব্যতিক্রম নই। তবে কন্ডিশন একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে, প্রতিপক্ষ একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। প্রচুর দর্শক থাকবে।  সব কিছু মিলিয়ে এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ চতুর্থবারের মতো আমি খেলতে যাচ্ছি। শেষ তিনটি বিশ্বকাপে আমি রান করেছি, আমার নিজেরও একটা ব্যতিক্তগত লক্ষ্য আছে। এই বিশ্বকাপে যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে যেতে পারি।’

নিজে তো বটেই। টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানদের নিয়েও বড় আশা মুশফিকের। সামর্থ্যের সেরাটা ঢেলে দলের জন্য রাখতে চান সর্বোচ্চ অবদান, ‘আমি মনে করি সুযোগ আছে, সামর্থ্যও আছে। আমি সেভাবেই চেষ্টা করবো।একজন টপ অর্ডার হিসেবে মনে হয়, টপ অর্ডার রান করলে অনেক বড় একটা রান স্কোর বোর্ডে তুলতে পারেন, প্রায় ৩শ বা সাড়ে ৩শ। আমার মনে হয় এই জিনিসগুলো আমার মাথায় আছে। এবং দল হিসেবে আমরা এগুলো আলোচনা করেছি। যদি সুযোগ থাকে তাহলে চেষ্টা করবো বাংলাদেশকে দুহাত ভরে দিতে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago