সেই কিরগিজদের উড়িয়ে ফাইনালে লাওস
গ্রুপ পর্বে দাপট দেখিয়ে সেমি-ফাইনালে নাম লিখিয়েছিল লাওস। দুই ম্যাচেই গোল দিয়েছিল ১১টি। ফলে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল দলটি। মাঠে তার প্রতিফলনও স্পষ্ট। শুরু থেকে প্রাধান্য বিস্তার করে কিরগিজস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে লাওস। ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে ফাইনালের টিকেট কাটল দলটি।
অথচ এ কিরগিজস্তানের বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল বাংলাদেশের। মাত্র ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচে ছিলেন না তাদের সেরা খেলোয়াড় বোরনবেকোভা আইঝানও। অথচ সে দলকে এদিন হেসে খেলে হারিয়ে দল লাওস। একাই চারটি গোল করেছেন মিডফিল্ডার পি। টুর্নামেন্টে তার গোলসংখ্যা ৮টি।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল লাওসেরই। দারুণ গোছানো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে দলটি। মাঝ মাঠের দখল ছিল তাদেরই। মাঝে মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে পাল্টা আক্রমণে নির্ভর করে খেলেছে কিরগিজরা। প্রথমার্ধে লড়াইটা করতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভেঙে পড়ে দলটি।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে পিয়ের এগিয়ে যায় লাওস। ব্যবধান বাড়াতেও খুব বেশি সময় নেয়নি তারা। ২১ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে দুর্দান্ত এক গোল দেন সেই পি। দুই গোলে পিছিয়ে পরে ব্যবধান কমাতে আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়ায় কিরগিজস্তান। সফলও হয়। ৪২ মিনিটে গোল পায় দলটি। সতীর্থের পাস থেকে দি বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক ভিলিনথোন ভোংসেংথোংকে পরাস্ত করেন আসকারোভা আইতুরগান।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোছানো ফুটবল খেলে লাওস। এ অর্ধে ৫টি গোল আদায় করে নেয় দলটি। ৫৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিক থেকে গোল আদায় করে নেন বদলী খেলোয়াড় ভাদি ইনথিয়া। ৭৪তম মিনিটে গোল দেন আরেক বদলী খেলোয়াড় মনথিপ সিসাকেথ। ৮৬ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন পি। দুই মিনিট পর স্পটকিক নিজের চতুর্থ গোল পান তিনি। মনথিপকে ডি বক্সে ফাউল করে পেনাল্টি পায় লাওস। যোগ করা সময়ে গোল উৎসবে যোগ দেন ডিফেন্ডার লানয় ভোংসিংখাম। ফলে বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
আগামী ৪ মে বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যকার জয়ী দলের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে লাওস।
Comments