হেরেও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাল কিরগিজরা
গুনে গুনে সাত সাতটি গোল খেল কিরগিজস্তান। ম্যাচ শেষে দলটির খেলোয়াড়দের মুখশ্রী হওয়া উচিৎ ছিল বিমর্ষ। কিন্তু সে দলটির সব খেলোয়াড় কিনা হাতে হাত রেখে গ্যালারির সামনে এসে চিৎকার করে কিছু বলছিলেন। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন জয় উদযাপন করছে দলটি। কারণটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ম্যাচ শেষে গ্যালারির সামনে এসে বাংলাদেশের দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিরগিজ খেলোয়াড়রা। ম্যাচ শেষে কোচ দলের অধিনায়ক তোকতবলতোভা ব্যাকতিগুল ও কোচ গাইভোরনস্কাইয়া নাতালিয়া জানালেন এমনটাই। মূলত বাংলাদেশের দর্শকরা তাদের সমর্থন দিবেন এমনটা আশা করেনি দলটি। তাই কৃতজ্ঞতা থেকেই এমনটা করেছেন তারা।
রাশিয়ান ভাষাতেই কথা বলেন কিরগিজরা। কোচ ছাড়া দলের কোন খেলোয়াড়ই ইংরেজিটা জানেন না। বাংলাদেশকে ধন্যবাদটা দিয়েছেন মাতৃভাষাতেই। আর তাদের অনুভূতিগুলো জানালেন কোচ নাতালিয়া, ‘ম্যাচ শেষে আমরা বাংলাদেশের দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়েছি। তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছিল। আমরা যেটা বলেছি সেটার অর্থ হলো কিরগিজস্তানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।’
লাওস ও কিরগিজস্তানের প্রথম সেমি-ফাইনাল দেখতে এদিন শতখানেক দর্শক উপস্থিত ছিলেন মাঠে। তাদের প্রায় সবাই অবস্থান করছিলেন পশ্চিম গ্যালারিতে, যেটা আবাহনী গ্যালারি হিসেবে পরিচিত। আর সে দর্শকদের প্রায় সমর্থন দিয়েছেন কিরগিজদের। হয়তো দারুণ শক্তিশালী লাওসকে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইনি তারা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ ভালো লড়াই করেছিল কিরগিজস্তান। প্রথমার্ধ শেষে ফলাফল ছিল ১-২ গোল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কিরগিজদের গতির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। মূলত মিডফিল্ডার পে একাই ধসিয়ে দেন দলটিকে। করেছেন চারটি গোল। টুর্নামেন্টে আটটি। ফলে শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে হারতে হয় কিরগিজদের।
Comments