সৌম্য-লিটনকে গিলক্রিস্ট-শেবাগের উদাহরণ দেখালেন মাশরাফি

বিশ্বকাপে আগে ব্যাট করলে করতে হবে বড় রান। কিংবা তাড়া করতে হবে বড় রান। একপ্রান্তে তামিম ইকবালের দায়িত্ব ইনিংস ধরে রাখার। আরেক প্রান্তে তাই সৌম্য সরকার আর লিটন দাসের স্বাধীনতা থাকছে ইচ্ছেমতো মেরে খেলার। তবে মারতে গিয়ে প্রায়ই ইনিংস বড় করতে পারেন না তারা। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর বীরেন্দ্রর শেবাগের উদাহরণ টেনে তাদের ধারাবাহিকতাও চাইলেন।
Soumya Sarkar & Liton Das
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিশ্বকাপে আগে ব্যাট করলে করতে হবে বড় রান। কিংবা তাড়া করতে হবে বড় রান। একপ্রান্তে তামিম ইকবালের দায়িত্ব ইনিংস ধরে রাখার। আরেক প্রান্তে তাই সৌম্য সরকার আর লিটন দাসের স্বাধীনতা থাকছে ইচ্ছেমতো মেরে খেলার। তবে মারতে গিয়ে প্রায়ই ইনিংস বড় করতে পারেন না তারা। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা  অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর বীরেন্দ্রর শেবাগের উদাহরণ টেনে তাদের ধারাবাহিকতাও চাইলেন।

ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপে আগ্রাসী সেঞ্চুরি করার পর জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের  বিপক্ষে এক ইনিংসে রান পেয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তিন ওয়ানডেতেই ১ রান করে আউট হন তিনি।

সৌম্য সরকার যখন খেলেন তখন প্রতিপক্ষ বোলারদের তছনছ করতে পারেন। কিন্তু সেই খেলাটা প্রায়ই দেখা যায় না তার ব্যাটে। সর্বশেষ সাত ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি আর একটি ৮০ রানের ইনিংস আছে সৌম্যের। বাকি ম্যাচগুলোতে ঘোরপাক খেয়েছেন ত্রিশের বৃত্তে।

সহজাত শটস খেলার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে তামিম নিয়েছেন ইনিংস ধরে রাখার ভূমিকা। অধিনায়ক জানালেন সহজাত শটস খেলার সামর্থ্য থাকা সৌম্য আর লিটনের উপর এখন দায়িত্ব দ্রুত রান বাড়ানোর, ‘আপনারা দেখেছেন তামিমকে আমরা যে ভূমিকা দিয়েছি লম্বা সময় ব্যাট করার, ও লম্বা সময় ব্যাট করলে আমাদের রানটা বড় হয়। ও একশো করলে আমাদের তিনশোর কাছে যায়, তিনশোও হয়েছে। তামিম তার খেলার ধরণ পাল্টেছে দলের জন্য। তামিম এখন ফোকাস করে ৪০ ওভার  ব্যাট করার। ৫০ ওভারও বলি কখনো কখনো।’

‘তামিমকে যখন এই ভূমিকা দিচ্ছি তখন বাকীদের লিটন বা সৌম্যকে ওই স্বাধীনতা দিতে হয় যাতে শটস খেলতে পারে।’

তবে দলের জন্য মারতে গিয়ে খালি খালি আউট হলেও চলবে না। অধিনায়কের চাওয়া আগ্রাসী ব্যাট করেও ধারাবাহিক হবে এই দুজন। এই জন্য তিনি উদাহরণ টানলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর বীরেন্দ্রর শেবাগের,  ‘নিউজিল্যান্ডে লিটন তিন ম্যাচেই মারতে গিয়ে আউট হয়েছে। সমালোচনা কিন্তু হয়েছে কিন্তু আমাদের ওর উপর কোন চাপ ছিল না। কারণ একেবারেই ওটা ছিল ওরা ফ্রি ক্রিকেট খেলুক। এরমানে এই না যে ফ্রি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আউট হবে। আপনি যদি দেখেন বীরেন্দ্রর শেবাগ বা গিলক্রিস্টের মতো কে মারত। কিন্তু ওদের ধারাবাহিকতা ছিল। ওদেরকেও এটা এডজাস্ট করতে হবে। ওরা যদি পারফর্ম করতে পারে তাহলে দলের জন্য ভাল হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্যারিয়ার জুড়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করে মাত করে গিলক্রিস্ট  ২৮৭ ওয়ানডেতে ৩৫.৮৯ গড়ে রান করেছেন, তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৮১.৯৫। ভারতের ইনিংসের শুরুতেই বোলারদের পিটিয়ে লাইনচ্যুত করে দেওয়া শেবাগ ২৫১ ওয়ানডেতে ৩৫.০৫ গড়ে তার করেছেন, তার স্টাইকরেট ১০৪.৩৩।

সৌম্য সরকার এখন পর্যন্ত  ৪১ ওয়ানডে খেলে ৩৪.৪৩ গড়ে রান করেছেন, তার স্ট্রাইকরেটও যথেষ্ট ভালো ৯৮.৬০। সেদিক থেকে ২৭ ওয়ানডেতে ১৯.৫৩ গড় আর ৭৯.৭৪ স্ট্রাইকরেটে রান করা লিটনের সামনে নিজেকে মেলে ধরার চ্যালেঞ্জ বেশি। 

 

Comments