বিজেপিকে ‘ফেকলু পার্টি’ বলে কটাক্ষ মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারো বলেছেন তার দল তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪২টি আসনের সবগুলো আসনেই জয় পাবে। মমতা বলেন, বিজেপির দুটো ছিল এবার ‘জিরো’ হয়ে যাবে তারা।
mamata banerjee
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি। ফাইল ছবি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারো বলেছেন তার দল তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪২টি আসনের সবগুলো আসনেই জয় পাবে। মমতা বলেন, বিজেপির দুটো ছিল এবার ‘জিরো’ হয়ে যাবে তারা।

বিজেপির বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগও তোলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, রাজ্যের বড় একটি সংবাদপত্রের নামের ভুয়া খবর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি। বিজেপিকে তাই তিনি ‘ফেকলু পার্টি’ বলেও কটাক্ষ করেন মমতা।

বিজেপির মগজে মরুভূমি বলেও এদিন উপহাস করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বলেন, তৃণমূলের একজন ব্লকস্তরের সভাপতির যে যোগ্যতা আছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ’র সেই যোগ্যতা নেই।  এই বলেই ক্ষান্ত হননি মমতা। বলেন, আমাদের জেলা সভাপতির যে যোগ্যতা আছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সেই যোগ্যতা নেই।

মমতা বিজেপিকে নোট চোর বলেও কটাক্ষ করেন। বলেন, যা ইচ্ছা তাই করছে বিজেপি। নেতাজিকে বদলে দিচ্ছে বিজেপি, স্বামী বিবেকানন্দকে বদলে দিচ্ছে।

বিজেপির পক্ষে কিছু মিডিয়া কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, মিডিয়ার কোনও দোষ নেই। আমি ওদের পক্ষে। মিডিয়াকে হুমকি দিয়ে ওদের পক্ষে লেখানো হচ্ছে।

বিজেপির সময় তিন কোটি চাকরি চলে গেছে। উত্তর প্রদেশ থেকে দু-লক্ষ চামড়ার ট্যানারি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চলে এসেছে। উত্তর প্রদেশ যোগের রাজ্য নয় ভোগের রাজ্য বলেও কটাক্ষ করেন মমতা।

তিন বলেন, ভোটের সময় ভোটপাখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসেন বিজেপি নেতৃত্ব। বাকি সময় বাংলায় আসেন না কেউ। কোনো বন্যায় বিজেপির কেউ আসেনি।

বামফ্রন্টের শাসনামল ইঙ্গিত করে বলেন, ৩৪ বছর ধরে বাংলা জ্বলতে জ্বলতে খাক্ হয়ে গিয়েছে তখনও কোনো বিজেপি নেতৃত্বকে দেখিনি।

তিনি বলেন, কয়েকজন চোর, জঙ্গলের ডাকাতদের নিয়ে এসে রাজ্যে দাঙ্গা লাগতে চাইছে বিজেপি। গদা, তলোয়ার নিয়ে বিজেপি নেতারা রাস্তায় বের হচ্ছে। নির্বাচন আসলে রাম মন্দির নিয়ে হুজুগ তোলে। গত পাঁচ বছরের একটা ছোট্ট রাম মন্দির গড়তে পেরেছে বিজেপি। নির্বাচন এলেই ওরা এই মন্দির গড়বে বলে দাবি করেন।

মমতা আরও বলেন, বাংলায় মাওবাদী অশান্তি দূর করেছি। মোদি বাবু তো পারেননি কোনও মাওবাদী রাজ্যগুলো শান্ত করতে। বিজেপির বিরুদ্ধে পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বলেন, পাহাড় ও জঙ্গল আমার শান্ত। কিন্তু বিজেপি অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে অনুদানে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভারত জুড়ে চলছে দেশিটির ১৭তম জাতীয় নির্বাচন। সোমবারই চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। পঞ্চম দফার ভোট হবে ৬ মে। সেদিন সাত রাজ্যে ভোট হবে ৫১ আসনে। চতুর্থ দফার ভোটের মধ্যদিয়ে ভারতের ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩২০ আসনের ভোট নেওয়া সম্পন্ন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। বাকি ২২৩টি আসনের ভোট গ্রহণ বাকি রয়েছে। আগামী দফায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাতটি আসনের ভোট হবে। ৪২ আসনের রাজ্যে ইতিমধ্যে ১৮ আসনের ভোট সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

Comments