মমতার মানসিক রোগ হয়েছে, কটাক্ষ বিজেপি নেতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারই এক সময়ের সহরাজনীতিক ও বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা মুকুল রায়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এএফপি ফাইল ছবি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারই এক সময়ের সহরাজনীতিক ও বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা মুকুল রায়।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বনগাঁ আসনে বিজেপির প্রার্থী শান্তুনু ঠাকুরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি তৃণমূল সভানেত্রীকে এভাবে আক্রমণ করেন।

এদিন বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, মমতার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। নইলে মাত্র ৪২ আসনের হিসাবে তিনি কি করে প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ভারতের লোকসভা আসন ৫৪৩টি। আর তিনি যদি রাজ্যের সব আসনও তৃণমূল পায় তবে সেটা হবে ৪২। তারও পরও তিনি রোজ বলেন দিল্লি দখল করবেন।

মুকুল রায় এসময় মোদি বিরোধী জোটের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় মোদি বিরোধী মহাজোটের সমাবেশ হয়েছিল। এরপর আর ওই নেতাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বিরোধী জোট দুজন প্রধানমন্ত্রীর চান। একজন কাশ্মীরের অন্যজন দিল্লির।

বিজেপির ওই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, তৃণমূল নেতাদের বলছি। আমি সেই দলে ছিলাম। আমি জানি আসনের হিসাব কি করে হয়। এই পর্যন্ত রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনের ১৮ আসনের ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এই ১৮ আসনের মধ্যে বিজেপি কমপক্ষে ১২টি আসন পাবে। মুকুল রায় এই একথাগুলো লিখে রাখার অনুরোধও করেন তৃণমূল নেতাদের। বলেন, রাজনৈতিক হিসাব আমি কারও চাইতে কম বুঝি না সেটা তৃণমূল নেতারাও জানেন।

নির্বাচনী সভাগুলোতে মমতা যেভাবে মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন তার সমালোচনা করেন মুকুল রায়। বলেন, ৩০ মিনিটর নির্বাচনী প্রচারে বড় অংশ জুড়েই মোদির কথা বলছেন মমতা। তিনি আসলে ভয় পেয়ে গিয়েছেন।

ভারতের ১৭ তম জাতীয় নির্বাচনের চার দফা ভোট শেষ হলেও এখনও বাকি আরও তিন দফা। আগামী দফা অর্থাৎ পঞ্চম দফায় এবার ভারতের সাত রাতের ৫১টি আসনের ভোটগ্রহণ হবে। সেদিনই ভোট হবে মমতার রাজ্যে সাত আসনে। তার মধ্যদিয়ে ৪২ আসনের মধ্যে ২৫ আসনের ভোট সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তিনি ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা ও নীতিনির্ধারক। তিন বছর আগে সারদা অর্থ কেলেঙ্কারির সংক্রান্ত ঘটনার পর মমতার সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয় এবং তিনি পরে বিজেপিতে যোগ দেন। এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতেও তিনি শীর্ষ নেতা হিসেবেই স্বীকৃত।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago