ফণীর কারণে আরও ৫ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশে তাণ্ডব চালানোর আগেই ঘূর্ণিঝড় ফণী শক্তি হারালেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে উপড়ে যাওয়া গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ফণীর কারণে গতকাল থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত মোট ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেল।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের বেগ তীব্র না হলেও মাঝে মাঝেই দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আজও সারাদিন মেঘলা হয়ে রয়েছে আকাশ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বরগুনা
গত রাত ৩টার দিকে বাড়ির ওপর গাছ পড়ে পাথরঘাটার চরদুয়ানি গ্রামে নুর জাহান (৫০) ও জাহিদুল (১৬) নামের দুজন নিহত হয়েছেন। পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পটুয়াখালী
কুয়াকাটা পৌরসভা এলাকায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে হাওয়ার তোড়ে ভেঙে মাথায় গাছ পড়ে হাবিব (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র বারেক মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারের স্থানীয় প্রতিনিধিকে একথা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। তাদের কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নোয়াখালী
সুবর্ণচরে গত মধ্যরাতের পর দেওয়াল চাপা পড়ে দুই বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। শিশুটির নাম মো. ইবরাহিম। সে চর আমিনুল হক গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
অন্যদিকে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় গাছের নিচে চাপা পড়ে ফাহিমা আক্তার নামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে।
এর বাইরে নোয়াখালীতে আরও অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০০ ঘর-বাড়ি।
চাঁদপুর
ফণীর কারণে চাঁদপুরে অন্তত পাঁচ জন আহত ও ৫০টি বাড়ি পুরোপুরিভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। গত রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েছিল জেলাটি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হজরত আলী ব্যাপারী বলেন, গত রাত পৌনে ৪টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এতে ৫০টি বাড়ি পুরোপুরি ও ছয়টি বাড়ি আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে।
হাইমচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম বলেন, ঝড়ে ১০-১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Comments