নাটোরের হাতেভাজা মুড়ির চাহিদা বাড়ছে

নাটোরের গোয়ালদীঘি কৃষ্ণপুর গ্রামের হাতেভাজা মুড়ির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। রমজান মাসের বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রায় ৩৫০টি পরিবারের যেন দম ফেলার ফুঁসরৎ নেই।

কোনোপ্রকার রাসায়নিক ছাড়া কেবল লবণ আর পানি দিয়ে মুড়ি তৈরি করায় এখানকার মুড়ির চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। তবে দেখতে কিছুটা লালচে।

একজন মুড়ি কারিগর দিনে দুই মণ মুড়ি ভাজতে পারেন। এক মণ মুড়ি উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ৯শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারে মুড়ি মণপ্রতি দুই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার একশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিদিন নাটোর গোয়ালদীঘি ঢালসড়ক মুড়ির হাট থেকে ৫০ মণ থেকে ৬০ মণ মুড়ি ঢাকা, রাজশাহী, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। তবে রোজার সময় প্রতিদিন ১৫০ মণ থেকে ২০০ মণ মুড়ি বিক্রি হয়।

কারিগররা জানালেন, মুড়ি তৈরি করতে খুব পরিশ্রম হলেও তা সর্বদায় লাভজনক। তবে তাদের আসল সমস্যা পুঁজি সংকট। বিভিন্ন এনজিও আর স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে তাদের লাভের গুড় পিঁপড়েতে খায়। স্বল্প সুদে সরকারী ঋণ সহায়তা পেলে এই শিল্পের আরও বিকাশ ঘটতে বলে মনে করেন কারিগর আর স্থানীয়রা।

তবে, মেশিনে ভাজা মুড়ির রাসায়নিকের কারণে চকচকে আর মোড়কজাত করে বিক্রিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছে হাতেভাজা মুড়ির বাজারে। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন লোকেরা হাতেভাজা মুড়িই কেনেন বলে জানান মুড়ি কারিগর ও সচেতন মহল।

অন্যদিকে নাটোরে জেলা প্রশাসক বলছেন, হাতেভাজা মুড়ি কারিগরদের ঋণ সুবিধাসহ সকল প্রকার সরকারী সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি নাটোরের মুড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকায় তা বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Pakistan says it has launched military offensive against India

Locked in a longstanding dispute over Kashmir, the two countries have engaged in daily clashes since Wednesday

2h ago