ট্রেনে ঢিল ছোড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন রেল মন্ত্রণালয়

ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন রেলপথ মন্ত্রণালয়। গত কয়েক মাসে চলন্ত ট্রেনে ঢিলের আঘাতে অনেক যাত্রী আহত এমনকি বেশ কয়েকজন নিহতও হয়েছেন। দুষ্কৃতিকারীরা এভাবে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের মাধ্যমটিকে অনিরাপদ করে তুলছেন। এতে যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি বিপন্ন হচ্ছে মানুষের জীবন।

ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন রেলপথ মন্ত্রণালয়। গত কয়েক মাসে চলন্ত ট্রেনে ঢিলের আঘাতে অনেক যাত্রী আহত এমনকি বেশ কয়েকজন নিহতও হয়েছেন। দুষ্কৃতিকারীরা এভাবে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের মাধ্যমটিকে অনিরাপদ করে তুলছেন। এতে যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি বিপন্ন হচ্ছে মানুষের জীবন।

এই কথাগুলো রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের। চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনা বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আজ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ট্রেনে চড়ে উত্তরাঞ্চলে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তিনি ট্রেনে থাকা অবস্থাতেই বাইরে থেকে ছোড়া ঢিলের আঘাতে জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রেনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।

সর্বশেষ গত রোববার রাতে ঢাকা ও রাজশাহীর মধ্যে চলাচলকারী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় চার বছর বয়সী জিসান নামে এক শিশু ও তার মা আহত হন। 

এভাবে শুধু যাত্রীই নয় খোদ রেলের কর্মচারীরাও হতাহত হচ্ছেন। ছুড়ে মারা পাথরের আঘাতে প্রাণ গেছে টিকেট চেকার শিকদার বায়েজিদ ও প্রকৌশলী প্রীতি দাসের। খুলনাগামী ‘বেনাপোল কমিউটার’ ট্রেনে আহত বায়েজিদ ৪১ দিন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে গত বছর ১১ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান। এখন ঘন ঘন ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনা সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে গোটা রেলপথ মন্ত্রণালয়।

রেলওয়ে সূত্রগুলো বলেছে, ইদানীং ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনগুলোতে সবচেয়ে প্রায়ই ঢিল ছোড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঘটনায় যাত্রীরা হতাহত হচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঢিল ছোড়ার খবর নথিভুক্ত হয় না। গত এক মাসের মধ্যে এই রুটে এরকম অন্তত ১৭টি ঘটনার তথ্য রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হবে।

এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রী বলেন, ট্রেনে ঢিল ছোড়া মারাত্মক অপরাধ। রেল লাইন এলাকার জনগণকে এর জন্য সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এরকম কোনো দুষ্কৃতিকারীকে দেখা মাত্র যেন তাদেরকে ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

4h ago