ঐতিহাসিক কীর্তি গড়ে নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না লিভারপুল কোচের

তিন গোলে পিছিয়ে দল। মাঠে নামার আগে আবার দলের সেরা তিন তারকাকে হারায় তারা। কিন্তু তাই নিয়েই দুর্বার লিভারপুল। বার্সেলোনাকে উড়িয়েই দিল তারা। প্রয়োজন ছিল চারটি গোলের। তাই আদায় করে নেয় দলটি। আর প্রতিপক্ষকেও রাখে গোলশূন্য। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ইংলিশ দলটি। আর শিষ্যদের এমন কীর্তি বিশ্বাসই হচ্ছে না কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের।
ছবি: এএফপি

তিন গোলে পিছিয়ে দল। মাঠে নামার আগে আবার দলের সেরা তিন তারকাকে হারায় তারা। কিন্তু তাই নিয়েই দুর্বার লিভারপুল। বার্সেলোনাকে উড়িয়েই দিল তারা। প্রয়োজন ছিল চারটি গোলের। তাই আদায় করে নেয় দলটি। আর প্রতিপক্ষকেও রাখে গোলশূন্য। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ইংলিশ দলটি। আর শিষ্যদের এমন কীর্তি বিশ্বাসই হচ্ছে না কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে যেন প্রত্যাবর্তনের অনেকগুলো গল্পই হয়েছে। তবে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে তিন গোলে পিছিয়ে থেকে ফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়ল লিভারপুল। এমন কীর্তি গড়ে বিস্মিত কোচও, 'জেতাটা কঠিন ছিল কিন্তু কোনো গোল না খেয়ে জেতা,আমি জানি না ওরা এটা কিভাবে করল।'

তবে ম্যাচটা জিততে পারেন তা নিজেও ভাবতে পারেননি এ জার্মান কোচ, 'ম্যাচের আগে আমি ছেলেদের বলেছিলাম, আমি মনে করি না এটা সম্ভব। কিন্তু যেহেতু তোমরা খেলবে, আমি মনে করি আমাদের একটা সুযোগ আছে। তারা সত্যি মানসিকভাবে দৈত্য। এটা অবিশ্বাস্য।'

এমন কীর্তি এর আগে ক্লপের জীবনে ঘটেনি। দারুণ অভিজ্ঞতায় উচ্ছ্বাসটা যেন একটি বেশি এ কোচের, 'এটা আমাদের সবার কাছে অনেক কিছু। পৃথিবীতে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, কিন্তু সবাই একসঙ্গে মিলে এমন আবেগময় আবহ তৈরি করা বিশেষ কিছু। সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। আমি এমনটা আগে দেখিনি, এটা দেখিয়েছে ফুটবলে সবই সম্ভব। এটা খুবই সুন্দর।'

ম্যাচের আগে মোহাম্মদ সালাহ, রবার্তো ফিরমিনো এমনকি নেবি কেইটাও ইনজুরিতে ছিটকে যান। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামতে পারেননি রবার্টসনও। কিন্তু এ সবই যেন শাপেবর হয়ে এলো লিভারপুলের। রবার্টসনের জায়গায় মাঠে নেমে ১০ মিনিটেই জোড়া গোল করেন জর্জিয়ানো ভেইনালদাম। আর তারকা খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে জোড়া গোল করেন দিভোক ওরিগিও।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago