বিশ্বকাপের আগে যেখানে বাংলাদেশের স্বস্তি

ছন্দহীন মোস্তাফিজুর রহমান বাড়াচ্ছিলেন উদ্বেগ, তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গীর ধারাবাহিকতার অভাবও খচখচানির কারণ ছিল গত কদিনে। সেই জায়গায় মোস্তাফিজ আর সৌম্য সরকার দাঁড়িয়ে গেছেন ভরসার বার্তা নিয়ে। ডেথ বোলিংয়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এতটাই ভাল করছেন যে রুবেল হোসেনেরও জায়গা মিলছে না। স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বেশ জমেছে জমেছে মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। তাই কেবল ম্যাচ জেতা নয়, বিশ্বকাপের আগে হা করে থাকা ফাঁকফোকরগুলো ভরাটের সম্ভাবনা জাগাতেও স্বস্তির বাতাস বাংলাদেশ দলে।
Bangladesh Cricket Team
ছবি: এএফপি

ছন্দহীন মোস্তাফিজুর রহমান বাড়াচ্ছিলেন উদ্বেগ, তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গীর ধারাবাহিকতার অভাবও খচখচানির কারণ ছিল গত কদিনে। সেই জায়গায় মোস্তাফিজ আর সৌম্য সরকার দাঁড়িয়ে গেছেন ভরসার বার্তা নিয়ে। ডেথ বোলিংয়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এতটাই ভাল করছেন যে রুবেল হোসেনেরও জায়গা মিলছে না। স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বেশ জমেছে জমেছে মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। তাই কেবল ম্যাচ জেতা নয়, বিশ্বকাপের আগে হা করে থাকা ফাঁকফোকরগুলো ভরাটের সম্ভাবনা জাগাতেও স্বস্তির বাতাস বাংলাদেশ দলে।

নিউজিল্যান্ডে ব্যাপক মার খেয়েছিলেন মোস্তাফিজ। আয়ারল্যান্ডে গিয়েও প্রথম ম্যাচে হয়েছিল একই হাল। বিশ্বকাপে দলের সেরা বোলিং অস্ত্রের এই দশা নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল দলের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব শেষ ম্যাচে সেই উদ্বেগ কব্জির ঝাঁকুনিতে কর্পূরের মতো উবে দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন, বিস্তর ভুগিয়েছেন ক্যারিবিয়ানদের। কাটার ধরাতে পারায় তার চেহারায়ও দেখা দিয়েছে আত্মবিশ্বাসের হাসি।

বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের সঙ্গী হবেন কে? সৌম্য সরকার না লিটন দাশ? দুজনেই আগ্রাসী আবার দুজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ অধারাবাহিকতার। ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পেয়ে দুই ম্যাচেই দুই ফিফটি, খেলার ধরণে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে সৌম্যও দিলেন ভরসা। যদিও কেবলই দুই ম্যাচ। তবে তার শরীরী ভাষা বলছে জড়োসড়ো নয়, নিশ্চিন্তে তেড়েফুঁড়ে খেলার জন্যই মুখিয়ে তিনি।

তিন জাতির আসরের ফাইনালে নামার আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরও এক ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। তার আগেই কিছু কঠিন প্রশ্নের সমাধান মেলায় নির্ভার টিম ম্যানেজমেন্ট এখনো বাকিদের বাজিয়ে দেখতেই পারে, তৈরি রাখতে পারে আরও অপশন।

মূলত এই টুর্নামেন্টের ফলাফলই কেবল মুখ্য পাওয়া ছিল না বাংলাদেশের। লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে টিম কম্বিনেশন খোঁজে পাওয়ার। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তা অনেকটাই পেরেছে মাশরাফি মর্তুজার দল।

তামিমের সঙ্গে ব্যাটিং শুরু করবেন সৌম্যই, আপাতত তার জায়গা পোক্তই ধরা হচ্ছে। সৌম্যকে এগিয়ে রাখছে তার মিডিয়াম পেসার সামর্থ্যও। তিনে সাকিব খেলায় লিটন দাশ থাকছেন বিকল্প ওপেনার হিসেবে। বাদবাকি জায়গাগুলো ঠিকঠাকই আছে। মুশফিকুর রহিমের পর একে একে আসবেন মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমানরা। মিরাজ আয়ারল্যান্ডে সাকিবের সঙ্গে দারুণ জুটি জমিয়ে বল করছেন। আইরিশ উইকেট কিছুটা মন্থর, ইংল্যান্ডে তার পরীক্ষাটা আরও কঠিন হলেও স্পিনে তিনিই ভরসা। বিকল্প হিসেবেই অপেক্ষায় থাকতে হবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।

অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে মোস্তাফিজ আর সাইফুদ্দিন অন্যদের চেয়ে ঢের এগিয়ে। রুবেল হোসেনের মতো পেসার বাইরে বসে থাকায় সাইফুদ্দিনের উপর প্রতি ম্যাচেই ভালো করার তাদিগ থাকবে। তবে আরও এক বিকল্প পেসার হিসেবে আবু জায়েদ রাহির জায়গাটা এখনো নড়বড়ে। অভিষেক ম্যাচে নিজেকে খুব একটা প্রমাণ করতে পারেননি। তার নড়বড়ে অবস্থার সুযোগ নিয়ে যেকোনো সময় ঢুকে যেতে পারেন তাসকিন আহমেদ।

মূল টুর্নামেন্টে নামার আগে আপাতত বাংলাদেশ যে একটা পছন্দের কম্বিনেশন খুঁজে পেয়েছে, তা বলে দেয়াই যায়। কে কোথায় খেলছেন, কার কি ভূমিকা ঠিক থাকায় বিশ্বকাপের আগে বাদবাকি ম্যাচগুলোতে খেলোয়াড়রা নিজেদের ঘাটতি সারাতে কাজ করার ফুরসত পাচ্ছেন। যার যার ভূমিকা অনুযায়ী পারফর্ম করার পথ নিয়ে কাজ করারও জায়গা বেড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago