সেই নাভাসকেই ছাড়তে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ

বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী থিবো কর্তুয়া রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিয়মিত গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে যায়। বোর্ড থেকেই কর্তুয়াকে গোলবার সামলানোর কথা বলা হয় সাবেক কোচ জুলেন লোপেতেগিকে। কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদান ফেরায় অবশ্য পরিস্থিতি বদলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাভাসকেই বিদায়ের বার্তা বলে দিচ্ছে লস বাঙ্কোসরা। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে মাদ্রিদের গণমাধ্যম মার্কা।
ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী থিবো কর্তুয়া রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিয়মিত গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে যায়। বোর্ড থেকেই কর্তুয়াকে গোলবার সামলানোর কথা বলা হয় সাবেক কোচ জুলেন লোপেতেগিকে। কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদান ফেরায় অবশ্য পরিস্থিতি বদলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাভাসকেই বিদায়ের বার্তা বলে দিচ্ছে লস বাঙ্কোসরা। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে মাদ্রিদের গণমাধ্যম মার্কা।

লোপেতেগি যাওয়ার পর আরেক সাবেক কোচ সান্তিয়াগো সোলারির অধীনে তো রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই দিন কাটান নাভাস। কোপা দেল রে ছাড়া সুযোগই পাননি। এরপর জিদান ফিরলে তিনিও ফিরেছিলেন গোলবারে। প্রত্যাশা ছিল আগামী মৌসুমেও নিয়মিত হবেন। কিন্তু তাকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াল।

জিদানের সূত্র ধরে সংবাদে প্রকাশ করা হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নাভাসের অধ্যায় শেষ হচ্ছে চলতি মৌসুমেই। এর মধ্যেই জিদান এটা জানিয়ে দিয়েছেন কোস্টারিকান গোলরক্ষককে। আর তাতে বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন তিনি। কর্তুয়ার সঙ্গে লড়াই করে রিয়ালের প্রধান গোলরক্ষক হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী এ গোলরক্ষক।

জিদান জানিয়েছেন, এখানে তার কিছুই করার নেই। কারণ সিদ্ধান্তটি রিয়াল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়ে গেছে। কর্তুয়ার উপর আস্থা রাখছে তারা। তাই নাভাসকে দল ছাড়তেই হচ্ছে।

আর এমনটা হলে আগামী শনিবার রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন নাভাস। মজার ব্যাপার ইকের ক্যাসিয়াস দল ত্যাগ করার পর দলের প্রধান গোলরক্ষক হয়ে ২০১৫ সালে বেটিসের বিপক্ষেই প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন এ গোলরক্ষক।

তবে গুঞ্জন রয়েছে আরও। মার্কা আরও একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে জিদান তার ছেলে লুকা জিদানকে দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে চাইছেন। তবে ক্লাব চাইছে অ্যান্ড্রি লুনিনকে এ দায়িত্ব দিতে। গত মৌসুমে লুকা দলের চতুর্থ গোলরক্ষক ছিলেন। তবে কিকো ক্যাসিলা দল ছাড়ার পর তিনি চলে আসেন তৃতীয় পছন্দ হিসেবে।

২০১৪ সালে রিয়ালে যোগ দিয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন নাভাস। এছাড়া একটি লালিগা, তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ এবং তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জিতেছেন তিনি। নিঃসন্দেহে নাভাস রিয়ালের অন্যতম সেরা একজন গোলরক্ষক।

Comments