রিজার্ভ বেঞ্চ বাজিয়ে দেখার ম্যাচ?
ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আগের ম্যাচ জিতেই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচের ফলে টুর্নামেন্টে কোন প্রভাব নেই। প্রথম পছন্দের একাদশেরব বাইরের খেলোয়াড়দের ঝালাই করার এটাই সুযোগ। শেষ ম্যাচে তাই বাংলাদেশ একাদশে দেখা যেতে পারে বেশ কটি পরিবর্তন।
বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে টানা দুই ফিফটি করে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন সৌম্য সরকার। কিন্তু লিটন দাশকেও তো তৈরি রাখা চাই। আইরিশদের বিপক্ষে তাই সুযোগ মিলতে পারে লিটনের।
লিটন একাদশে এলে বিশ্রামে কে যাবেন তামিম নাকি সৌম্য? প্রথম ম্যাচে ৮০ রান করেছিলেন তামিম, পরের ম্যাচে ২১ রানেই থামতে হয় তাকে। বৃষ্টিতে এক ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় তামিমের অনুশীলন হয়েছে কম। সেদিক থেকে বিশ্রামে যাওয়ার সম্ভাবনা সৌম্যেরই বেশি।
সাকিব আল হাসানের বিশ্রাম নেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। চোটের কারণে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকার পর আইপিএল দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন, সেখানেও বেশি সুযোগ পাননি। এখন তাই হাতে থাকা সবগুলো ম্যাচই বিশ্বকাপের জন্য কাজে লাগাতে চাইবেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২৫ বলে ৩২ করে দলের জয়ের সময় ছিলেন মুশফিকুর রহিম, ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে পরের দেখায় করেছেন ৬৩ রান। মুশফিকের স্বভাব বৈশিষ্ট্য বলে এইটুকুতেই তৃপ্ত থাকতে চাইবেন না তিনি।
মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন আর সাব্বির রহমানদের বিশ্রামের প্রশ্নই আসছে না। প্রথম ম্যাচে এই তিনজন নামারই সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়টিতে মিঠুন আর মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং পেলেও সাব্বির নেমেও কোন বল খেলার আগেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। বরং পর্যাপ্ত ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে এই তিনজনের। সেদিক থেকে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে পারেন ইয়াসির আলি রাব্বি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জাতীয় দলে প্রথম ডাকে অভিষেক হচ্ছে না তার।
প্রথম দুই ম্যাচেই সাকিবের সঙ্গে জুটি বেধে দারুণ বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজের পর্যাপ্ত বোলিং অনুশীলনই হয়েছে বলা চলে। তার জায়গায় আইরিশদের বিপক্ষে তাই দেখা যেতে পারে নাঈম হাসান বা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
প্রথম ম্যাচে ছন্দহীন থাকলেও পরের ম্যাচে ধার দেখিয়ে জাত চিনিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে প্রায়ই চোটে পড়া এই পেসারকে বিশ্বকাপের আগে সব ম্যাচ খেলানোর পক্ষে নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাও জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে থাকা যাদের নিশ্চিত তাদের সময় বুঝে বিশ্রাম দিতে চান তারা। সেদিক থেকে মোস্তাফিজের বিশ্রাম অনেকটা নিশ্চিত।
মোস্তাফিজের বিশ্রাম যেমন দরকার, রুবেল হোসেনের দরকার ম্যাচ খেলা। আয়ারল্যান্ডে গিয়ে কেবল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। সাইড স্ট্রেনের চোট থেকে ফেরার পর ছন্দ পেতে এই ধরণের চাপহীন ম্যাচই তার দরকার বেশি।
তবে যে দুজনকে নিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বেশি মাতামাতি সেই আবু জায়েদ রাহি আর তাসকিন আহমেদ একসঙ্গে সুযোগ পান কিনা সেটাই দেখার বিষয়। অধিনায়ক মাশরাফি নিজে বিশ্রাম না নিলে অবশ্য দুজনের একসঙ্গে খেলার সুযোগ হবে না। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের হালকা চোট থাকায় জায়েদ বা তাসকিনের কেউ একজন যে খেলছেন তা অনেকটা অনুমেয়।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ একাদশে কতগুলো বদল নিয়ে নামে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাশ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, নাঈম হাসান/মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি মর্তুজা, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ/তাসকিন আহমেদ।
Comments