৭ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা পাচার মামলায় এএসআই’র সহযোগীর দায় স্বীকার
ফেনীতে র্যাবের হাতে ধরা পড়া ৭ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা পাচার মামলার আসামী ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই মাহফুজের এক সহযোগী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দায় স্বীকার করেছেন। তার নাম তোফাজ্জল হোসেন প্রকাশ ওরফে ইয়াবা তোফাজ্জল।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার পঞ্চবটি রেলওয়ে ছোট পুকুর পাড়ের বাসিন্দা তোফাজ্জল বৃহস্পতিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দীতে দায় স্বীকার করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার তৎকালীন এএসআই মাহফুজুর রহমান ও তার ‘এলিয়ন’ গাড়ির চালক জাবেদ আলী ২০১৫ সালের ২১ জুন ভোরে ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকায় একটি শিশুকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় তার গাড়ি থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রির নগদ ৭ লাখ টাকা, ৪টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ৮টি ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।
তোফাজ্জল তার জবানবন্দিতে জানায়, ফেনীতে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার আরও বছর খানেক আগে থেকে এএসআই মাহফুজের সাথে ইয়ার ব্যবসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি চালান ইয়াবা নিয়ে বিক্রিও করেছে। প্রায় ৬০-৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যে চালান নিয়ে মাহফুজ ধরা পড়েছে ওই চালন থেকেও তাকে (তোফাজ্জল) ইয়াবা দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য অগ্রিম টাকাও নেয় মাহফুজ।
র্যাবের তথ্য মতে-গ্রেপ্তারের পর এএসআই মাহফুজ জানিয়েছিলেন ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে চাকরির সুবাদে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। তার নোট বই থেকে ১৪ জনের সঙ্গে ২৮ কোটি ৪৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন জানান, ফেনীর আদালতে তোফাজ্জল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান শেষে তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় এযাবৎ মোট ৯ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে ফেনী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা (নং ৭৭, তাং ২১/০৬/১৫) দায়ের করা হয়। মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।
Comments