যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় ফিরতে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা যাতে ক্ষমতায় ফিরতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীরা যাতে আবারও ক্ষমতায় ফিরে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
আজ (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ফলে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৮১ সালের আজকের এ দিনে দেশে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সবসময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জড়িত ছিল। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্র ছাড়া একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার সব ষড়যন্ত্র ও বাধা ডিঙিয়ে দলকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সংগঠনের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ বর্তমানে দেশের এক নম্বর রাজনৈতিক দল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এবং এজন্য তারা গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন।”
“এ সফলতার কারণ হলো যে, দল মানুষের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে কাজ করেছে... মানুষ এটা ঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং এটাই একটি রাজনৈতিক দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,” যোগ করেন তিনি।
মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করা একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, “ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা হারানো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার গত ১০ বছরে দেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়েছে, দারিদ্র্য হার হ্রাস ও দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। এখন বাংলাদেশ বিশ্ব মঞ্চে মর্যাদার আসনে দাঁড়িয়ে আছে।”
গত ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা শেখ হাসিনা বলেন, “এ সময়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এমন কিছু করেননি যাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।”
“আমরা কখনও নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার জন্য কাজ করিনি, আমরা সবসময় দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করেছি, আমরা সব সময় চিন্তা করেছি মানুষকে কী দিতে পারলাম, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কী করতে পারলাম,” বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “দল হিসেবে আওয়ামী লীগের চেষ্টা হলো দেশকে এগিয়ে নেওয়া।”
দলের সভাপতি হিসেবে নিজের দীর্ঘ ৩৮ বছরের মেয়াদকাল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা অনেক বেশি। এখন আপনাদেরও সময় এসেছে। তাছাড়া আমার বয়সও হয়েছে।”
নিজের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটি স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ওই দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করা হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই দিন হয়তো আমি পরিচিত মুখগুলো পাইনি, কিন্তু সেখানে হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসা ও মমতায় আমি আপ্লুত ছিলাম।”
Comments