রাত পোহালেই ভারতে শেষ দফার ভোট
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শুরু হবে ভারতের ১৭তম জাতীয় লোকসভার সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসহ ভারতের ছয় রাজ্যের ৫৯ আসনের ভোট হবে আগামীকাল রোববার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা জেলার দুই, উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলার তিন এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলার চার আসনের ভোট হবে এদিন।
শেষ দফার ভোটের জন্য ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ছয় দফার নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অশান্তির কারণে এবারের ভোটগ্রহণে কমিশন বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়ক।
এদিকে, রাত পোহালেই ভোট। তাই ভোটকর্মীরা শনিবার সকাল থেকেই যার যার কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে রওনা হয়েছেন।
কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, মথুরাপুর, জয়নগর, দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এই নয় আসনের ভোট নেওয়া হবে কাল রোববার।
কলকাতা উত্তর আসনের তৃণমূলের শীর্ষ নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির শীর্ষ নেতা রাহুল সিনহা, বামফ্রন্টের কনীনিকা ঘোষ এই তিনজনের মধ্যেই মূলত লড়াই হবে। এই আসনের ভোটার সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯১২ জন।
কলকাতা দক্ষিণ বামফ্রন্টের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নন্দিনী মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন মালা রায় এবং বিজেপির নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু। এখানে ভোটার সংখ্যা ১৭ লাখ ১৯ হাজার ৮২১ জন।
যাদবপুর আসনে লড়ছেন তৃণমূলের সেলিব্রেটি প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী, বিজেপির অনুপম হাজরা এবং বামফ্রন্টের বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এই কেন্দ্রের মূলত বাম-তৃণমূলে লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ২ হাজার ২৩৪ জন।
দমদম আসনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তিন রাজনৈতিক শিবির। বামফ্রন্টের নেপাল দেব ভট্টাচার্য, বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের অধ্যাপক সৌগত রায়। এই আসনের ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭২৫ জন।
বারাসাতে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী ডাক্তার কাকলী ঘোষ দস্তিতার, বিজেপির হয়ে লড়ছেন মৃণাল কান্তি দেবনাথ এবং বামফ্রন্টের হরিপদ বিশ্বাস। এই আসনে লড়াই হবে মূলত তৃণমূল-বিজেপির। ভোটার সংখ্যা ১৭ লাখ ১০ হাজার ৬৮৩ জন।
বসিরহাটের বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসু, তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। এই কেন্দ্রের লড়াই হবে বিজেপি-তৃণমূলের।
এদিকে, ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করছেন পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ রাজনীতিকরা। বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেছেন, গত ছয় দফার মতো ভোট হবে না এটা তিনি বিশ্বাস করেন।
বামফ্রন্ট নেতা রবীন দেব মনে করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত থাকলে অশান্তি এড়ানো যাবে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্রের উৎসব ভোট। গত ছয় দফার অভিজ্ঞতা ভালো নয়। তবে আশা করছি শেষ দফার ভোট নির্বিঘ্নেই হবে।
Comments