রমজানে ঢাকায় দুর্ভোগের শিকার ৯৫ শতাংশ যাত্রী
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/jam-dhaka-web.jpg?itok=wZXvyOu8×tamp=1558192750)
রমজান মাসে ঢাকায় ৯৫ শতাংশ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হন। ৯৮ শতাংশ যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার। ৬৮ শতাংশ যাত্রী চলন্ত বাসে উঠানামা করতে বাধ্য হন।
নগরীতে ইফতারের পূর্বে ঘরমুখো নিত্য যাত্রীদের যাতায়াত পরিস্থিতি সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে এই চিত্র পেয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, গণপরিবহনের এই নৈরাজ্যের সঙ্গে রাইড শেয়ারিং এর নামে চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালকরাও এই নৈরাজ্যের মধ্যে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি করা হয়। আজ শনিবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়।
পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে যানজট, গণপরিবহন সংকটসহ নানা কারণে নগরীর যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বাস-মিনিবাসের প্রায় ৯৭ শতাংশই সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে যাতায়াত করছে। এই বাসগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বদলে কোম্পানি নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নগরীতে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিক্সা শতভাগ চুক্তিতে চলাচল করছে। এতে মিটারের প্রায় তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে রাজি হয় না ৯৩ শতাংশ অটোরিক্সা। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ট্যাক্সি ক্যাবের দেখা মিলে না।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ভিত্তিক চালকদের তৈরি নৈরাজ্য সম্পর্কে তারা বলেছে, বিকেল ৪টার পর থেকে অ্যাপের পরিবর্তে ‘খ্যাপে’ তিন চার গুণ ভাড়ায় যাত্রী বহন করার চিত্র নগর জুড়ে দেখা গেছে। গণপরিবহনে চলমান নৈরাজ্যে মধ্যে প্রথমবারের মতো তারা যুক্ত হয়েছে।
Comments