আমিরাত, সৌদিতে হামলার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতিরা

নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। গত রাতে ইরাকের কূটনীতিক পাড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা রকেট হামলা চালায়। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও ইরাকের সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে পরিচিত সেই ‘গ্রিন জোন’ যে কতোটা অনিরাপদ তা প্রমাণিত হয়েছে। এরপর যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে ইয়েমেনের হুতিদের হামলার প্রকাশ্য হুমকি।
houthi militants
১৬ মে ২০১৯, ইয়েমেনের সানা শহরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলার পর একজন হুতি নিরাপত্তা কর্মকর্মতার প্রতিক্রিয়া। ছবি: রয়টার্স

নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। গত রাতে ইরাকের কূটনীতিক পাড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা রকেট হামলা চালায়। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও ইরাকের সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে পরিচিত সেই ‘গ্রিন জোন’ যে কতোটা অনিরাপদ তা প্রমাণিত হয়েছে। এরপর যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে ইয়েমেনের হুতিদের হামলার প্রকাশ্য হুমকি।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত সাবা সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল (১৯ মে) জানায়, ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী বলেছে- গত সপ্তাহে তারা সৌদি আরবের জাতীয় তেল-গ্যাস সংস্থা আরামকোর বিভিন্ন স্থাপনায় যে হামলা চালিয়েছে তা আসলে শুরু মাত্র।

ইরান সমর্থিত হুতি সেনা সদস্যরা সৌদিতে আরও ৩০০ সামরিক স্থাপনায় হামলার জন্যে প্রস্তুত রয়েছে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সেসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সদরদপ্তরগুলো।

হুতি সেনাদের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সাবা সংবাদ সংস্থা আরও জানায়, সশস্ত্র বিদ্রোহীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলার সক্ষমতা রাখে। তাই তাদের হামলার তালিকায় সৌদি আরবের পাশাপাশি রয়েছে আমিরাতও।

এছাড়াও, ইয়েমেনের যে অংশে আমিরাত ও সৌদি আরবের উপস্থিতি রয়েছে যেসব এলাকাতেও আক্রমণ করার হুমকি দিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা।

গত ১৪ মে সৌদি আরব জানায় অস্ত্রবাহী ড্রোন দেশটির দুটি তেল স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। তার আগেই হুতিদের মাসিরাহ টেলিভিশন জানায় যে হুতিরা সৌদি স্থাপনায় আঘাত পরিচালনা করেছে। বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আর ইরান কৌশলগত হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিলে সৌদি আরবের সেই পাইপলাইনটিই হবে তেল রপ্তানির বিকল্প পথ।

শুধু তাই নয়, এর দুদিন আগে, গত ১২ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ উপকূলে নাশকতামূলক হামলায় সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী টেঙ্কারসহ চারটি জাহাজের ক্ষতি হয়।

এসব হামলার পর গতকাল নতুন করে হামলার হুমকি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাতাস যেনো আরও উত্তপ্ত করে তোলা হলো।

আরও পড়ুন:

কেউই যখন যুদ্ধ চান না, তখন কেনো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের সাজ?

‘ইরানকে মোকাবিলায় লক্ষাধিক সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago