আলোচনা নয়, এবার প্রতিরোধ: হাসান রুহানি

Hassan Rouhani
ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া আলোচনা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। বিপরীতে বিশ্ব মোড়লকে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অবরোধ-পীড়িত দেশটি।

আজ (২১ মে) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি বলেছেন, তিনি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষের লোক। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসা সম্ভব নয়।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা গতকাল সন্ধ্যায় জানায়, রুহানি বলেছেন, “আজকের পরিস্থিতি আলোচনার জন্যে উপযুক্ত নয়। এখন আমরা প্রতিরোধের পথ বেছে নিয়েছি।”

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ থেকে পেনসিলভানিয়া যাওয়ার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের জানান, “ইরান প্রস্তুত থাকলে” তাদের সঙ্গে কথা বলতে তিনি রাজি রয়েছেন।

এর আগে তিনি কঠোর ভাষায় ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থে ইরান হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে।”

ইউরেনিয়াম সঞ্চয় শুরু

ইরান তার ৩.৬৭ শতাংশ পরিশোধিত ইউরেনিয়াম জমানো শুরু করেছে। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা (এইওআই) এর মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি গতকাল (২০ মে) এই ঘোষণা দেন।

বেহরুজের বরাত দিয়ে গতকাল ইরানের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ মে থেকে ইরান নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে ৩.৬৭ শতাংশ পরিশোধিত ইউরেনিয়াম জমানো শুরু করেছে এবং তা বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ‘পরমাণু চুক্তির’ বিধি-বিধান মেনেই করা হচ্ছে।

নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকরা পরমাণু বিষয়ে ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে বেহরুজ বলেন, “ইরান যা কিছু করবে তা ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনেই করবে।”

আরও পড়ুন:

সৌদি অস্ত্র গুদামে ড্রোন হামলার দাবি হুতিদের, সৌদি-জোট বলছে বেসামরিক এলাকা

‘বোমা বানানোর মতো ইউরেনিয়াম উৎপাদন করার কথা ভাবছে ইরান’

‘ইরানকে মোকাবিলায় লক্ষাধিক সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’

ইরানকে বার্তা দিতে মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও মহাকাশে ৩টি স্যাটেলাইট পাঠাবে ইরান

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

3h ago