পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ পাকিস্তানীদের ভিসা দিচ্ছে না বলে যেসব খবর গণমাধ্যমে এসেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ তা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে ভিসা দিতে বিলম্ব হওয়ার কথা স্বীকার করে এর জন্য ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ দায়ী বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ছবি: ফাইল ফটো

বাংলাদেশ পাকিস্তানীদের ভিসা দিচ্ছে না বলে যেসব খবর গণমাধ্যমে এসেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ তা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে ভিসা দিতে বিলম্ব হওয়ার কথা স্বীকার করে এর জন্য ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ দায়ী বলেই উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, “গণমাধ্যমে খবরটা এসেছে উল্টোভাবে। এই সংকট ইসলামাবাদের আরোপিত। সেখানে যে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের পাঠানো হবে তাদের ভিসা প্রদানে তারা নিষ্ক্রিয়।”

পাকিস্তানিদের ভিসা দিতে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করে মোমেন বলেন, ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনে জনশক্তির স্বল্পতা রয়েছে, যা ভিসা প্রদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে। এর কারণ হলো পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ ভিসা কাউন্সিলরের ভিসা প্রদান বিলম্বিত করছে। তাছাড়া ইসলামাবাদে ভিসা ইস্যু করার কাজে সাময়িকভাবে নিয়োজিত অফিসারের ভিসাও তারা নবায়ন করছে না।

 “এই সমস্যায় তারা (ইসলামাবাদ) ফেলেছে আমাদেরকে। সেখানে আমাদের জনশক্তির সমস্যা না মিটলে আমরা কিভাবে ভিসা ইস্যু করবো?” প্রশ্ন তোলেন মোমেন।

মন্ত্রী বলেন, “আমরা পাকিস্তানীদের ভিসা দেয়া বন্ধ করিনি, কিন্তু কিছু কারণে তা বিলম্বিত হতে পারে, এটা বিশ্বব্যাপী সাধারণ ঘটনা।”

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো প্রকার ঝামেলায় যেতে চায় না ঢাকা। “আমরা তাদের সঙ্গে আগেও যোগাযোগ করেছি এবং এখনো যোগাযোগ রাখছি আমাদের কূটনীতিকদের ভিসা ইস্যু সমস্যার সমাধানে।”

ঢাকায় নিয়োগকৃত পাকিস্তানী দূতের পরিচয়পত্র গ্রহণের বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়েছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, কিছু কারণে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ইসলামাবাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, “এটা একটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বিষয়। তারা নতুন প্রস্তাব দিলে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করবো।”

উল্লেখ্য, গত এক বছরেরও বেশি সময় ঢাকায় পাকিস্তানী হাইকমিশনে কোন দূত নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago