পঞ্চপাণ্ডবের বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান: ব্যাটে-বলে শীর্ষে সাকিব

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মূল চালিকাশক্তি ‘পঞ্চপাণ্ডব’- মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সামর্থ্য, অর্জন এবং অভিজ্ঞতার মিশেলে তাদের প্রত্যেকের রয়েছে বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার। দেশের ক্রিকেট অঙ্গনের এই পাঁচ উজ্জ্বল নক্ষত্রের সবারই আছে একাধিক বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। আসন্ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার ‘স্বপ্নের পালে হাওয়া দেওয়ার’ মূল দায়িত্বটাও থাকছে তাদের কাঁধে।
Shakib AL Hasan
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মূল চালিকাশক্তি ‘পঞ্চপাণ্ডব’- মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সামর্থ্য, অর্জন এবং অভিজ্ঞতার মিশেলে তাদের প্রত্যেকের রয়েছে বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার। দেশের ক্রিকেট অঙ্গনের এই পাঁচ উজ্জ্বল নক্ষত্রের সবারই আছে একাধিক বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। আসন্ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার ‘স্বপ্নের পালে হাওয়া দেওয়ার’ মূল দায়িত্বটাও থাকছে তাদের কাঁধে।

পরিসংখ্যান বলছে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে পঞ্চপাণ্ডবের প্রত্যেকেই এখনো নিজেদের সেরাটা উপহার দিতে পারেননি। আবার, কেউ ইতিহাস গড়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এই পাওয়া-না পাওয়ার মাঝে একজনকে আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম ‘গ্লোবাল স্টার’। তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার’ তকমা। তিনি ‘বহু বিশেষণে বিশেষায়িত’! তিনি সাকিব- যিনি একইসঙ্গে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং উইকেটশিকারি।

২০০৭ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসর দিয়ে বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞে প্রথমবারের মতো পা রেখেছিলেন সাকিব। এরপর টানা তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ২০১১ সালে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দেন তিনি। এবারের আসরটি হতে যাচ্ছে তার চতুর্থ বিশ্বকাপ। মাশরাফি-তামিম-মুশফিকও চারটি বিশ্বকাপে খেলার স্বাদ নিতে যাচ্ছেন। এক্ষত্রে একটু পিছিয়ে আছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি খেলবেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১টি ম্যাচ খেলেছেন বাঁহাতি সাকিব। এই তালিকায় তার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন ওপেনার তামিম এবং উইকেটরক্ষক মুশফিক। তবে দুজনের চেয়েই রান বেশি সাকিবের। ২১ ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ৩০ গড়ে ৫৪০ রান করেছেন তিনি। তার নামের পাশে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি থাকলেও কোনো সেঞ্চুরি নেই।

২০ ইনিংসে ৫১০ রান নিয়ে সাকিবের কাছাকাছি আছেন মুশফিক। বন্ধু সাকিবের মতো তামিমও ২১ ইনিংসে ব্যাট হাতে উইকেটে নেমেছেন। তবে বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা এই তারকার সংগ্রহ ৪৮৩ রান। আর গেলো ২০১৫ বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়া মাহমুদউল্লাহ ৯ ইনিংসেই করেছেন ৩৯৭ রান।

ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সবার আগে ৩০ বছর বয়সী সাকিব। ২১ ম্যাচে ৩৫.৭৮ গড়ে ২৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বল হাতে সাকিবের সেরা পারফরম্যান্স ছিলো গেলো বিশ্বকাপে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।

সাকিবের পরের স্থানে টাইগার দলনেতা মাশরাফি। ১৬ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের ‘ভারত বধ’ কাণ্ডের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। ওই ম্যাচে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ম্যাশ। সেটাই বিশ্বকাপে তার সেরা পারফরম্যান্স। অনুমিতভাবেই, তৃতীয় স্থানে মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপে ৮ ইনিংসে বল করে ৪ উইকেট পেয়েছেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago