‘প্রহসনের তদন্ত কমিটি, প্রতিবেদন ও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আমরা মানি না’

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতরা সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন মধুর ক্যান্টিনে। তার প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৫ জনকে বহিষ্কার ও ২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি, প্রতিবেদন, ব্যবস্থা কোনোকিছুই সঠিক মনে করছে না পদবঞ্চিতরা।
Lipi and Babu
বিএম লিপি আক্তার ও সাঈফ উদ্দিন বাবু। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতরা সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন মধুর ক্যান্টিনে। তার প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৫ জনকে বহিষ্কার ও ২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি, প্রতিবেদন, ব্যবস্থা কোনোকিছুই সঠিক মনে করছে না পদবঞ্চিতরা।

বিষয়টি নিয়ে আজ (২০ মে) দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বিএম লিপি আক্তার ও আন্দোলনকারী অংশের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ উদ্দিন বাবুর কথা হয়।

বিএম লিপি আক্তার বলেন, “তদন্ত কমিটি দুপক্ষ থেকে হওয়ার কথা। একপক্ষের মাধ্যমে কখনও তদন্ত হয় না। মধুর ক্যান্টিনের হামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি একপাক্ষিক ছিলো। সেখানে পদবঞ্চিতদের পক্ষের কেউ ছিলো না।”

“প্রথম থেকেই এই তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের আস্থা ছিলো না, যা আমরা আগেও বলেছি। যাদের মাধ্যমে বা যাদের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে, তাদের মধ্য থেকেই তিনজনকে আবার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের দিয়ে যে সুষ্ঠু তদন্ত হবে না, তা আগেই জানতাম। তদন্ত প্রতিবেদন যখন পেলাম, আমরা দেখলাম আমাদের পক্ষের জারিন দিয়া, যে নিজেই ১৩ মে’র হামলার শিকার এবং আহত হয়েছিলো, ওকে ফের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ কেমন তদন্ত, যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?’’ যোগ করেন তিনি।

রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের এই সভাপতি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে তাদেরকে (তদন্ত কমিটি) মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি যে, তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আমরা মানি না। আজ আমরা লিখিতভাবেও তা জানিয়ে দেবো। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তাদের কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি। এই তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

পদবঞ্চিত সাঈফ উদ্দিন বাবু বলেন, “আমরা বিষয়টি আগেই পরিস্কার করেছি। বারবার বলেছি যে, মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিলো, সেটি একটি প্রহসনের তদন্ত কমিটি। এই কমিটির ওপর আমাদের শুরু থেকেই অনাস্থা ছিলো এবং প্রতিবেদনও আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ এখানে যারা মার খেয়েছে, তাদেরকেই আবার বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

“হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিতদের নাম আমরা তাদেরকে (তদন্ত কমিটি) বলেছিলাম। হামলাকারীদের কোনো শাস্তির আওতায় আনা হয়নি বরং তাদের বাঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই”, যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:

ছাত্রলীগ সঙ্কট: ৫ জন বহিষ্কারের পর ১ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা

৪ নেতার আশ্বাসে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের আন্দোলন প্রত্যাহার

লিপিদের ওপর রাব্বানীদের হামলা, প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

ছাত্রলীগের কমিটি জটিলতা চলছেই

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি: বিতর্কের শেষ নেই

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago