রেকর্ড ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেও খুশি নন মেসি
টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন লিওনেল মেসি। দুটোই রেকর্ড। তাতে বার্সেলোনা অধিনায়ক নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এতসব কীর্তির আনন্দ অবশ্য ছুঁয়ে যাচ্ছে না আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে। লিভারপুলের বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বিশাল হারের ক্ষত তাকে এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ মে) ফরাসি লিগ ওয়ানের এবারের মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেসির গোল্ডেন শু জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায়। কেননা ফরাসি চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ত জার্মেই (পিএসজি) ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে শেষ পর্যন্ত টিকেছিলেন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি জেতার দৌড়ে। তবে মেসিকে টপকে যেতে তার দরকার ছিল পাঁচ গোল। তা তো হয়ইনি, উল্টো এমবাপে একবার লক্ষ্যভেদ করলেও রেইমসের কাছে পিএসজি ম্যাচটা হেরে গেছে ৩-১ গোলে।
ফলে ৩৩ গোল নিয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষ করেছেন এমবাপে। আর লা লিগায় ৩৪ ম্যাচে ৩৬ গোল করে গোল্ডেন শুটা নিজের কাছেই রেখে দেওয়ার বন্দোবস্ত আগে থেকেই সেরে রেখেছিলেন মেসি। ১৯৬৮ সালে গোল্ডেন শু প্রবর্তনের পর তিনিই প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা তিনবার এটি জিতলেন।
গেল দুই মৌসুমে ইউরোপের লিগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার আগে ২০০৯-১০, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মৌসুমেও গোল্ডেন শু জিতেছিলেন মেসি। তার কাছাকাছি আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড এই পুরস্কার জিতেছেন চারবার।
তবে ফের রেকর্ড বইয়ে নাম লেখানো কিংবা রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলা- কোনো খুশিই এই মুহূর্তে স্পর্শ করছে না ৩১ বছর বয়সী মেসিকে। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, 'আমি এটা (ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু) নিয়ে ভাবছি না।'
পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী তারকা যোগ করেন, 'এই পুরস্কারের বিষয়টি আমার মাথায় নেই। লিভারপুলের বিপক্ষে হারের ক্ষত এখন আমাদের কষ্ট দিচ্ছে, অন্তত আমাকে। আমি নিজেকে কিছু ভাবছি না।'
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা-লিভারপুল। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠার রাস্তাটা প্রায় পাকাই করে ফেলেছিলেন মেসিরা। কিন্তু রূপকথা লিখে পরের লেগে কাতালানদের ৪-০ গোলে হারিয়ে দেয় লিভারপুল। তাতে নিশ্চিত হয় মেসিদের বিদায়। আর ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার শিরোপার লড়াইয়ের টিকিট পেয়ে যায় অলরেডরা।
Comments