বার্সেলোনাকে হারিয়ে কোপা দেল রে'র শিরোপা ভ্যালেন্সিয়ার

ছবি: এএফপি

চ্যাম্পিয়ন্স লীগে হারের ধাক্কাটা যে এখনও কাটেনি তা আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এবার আরও একটি ধাক্কা খেল দলটি। কোপা দেল রে জিতে ঘরোয়া ডাবল জয়ের আশাও পূর্ণ হলো না তাদের। ভ্যালেন্সিয়ার কাছে এদিন ২-১ গোলে হেরে গেছে এরনেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা। অথচ মৌসুমের এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল ট্রেবলই জয় করতে যাচ্ছে দলটি।

সেভিয়ার মাঠে এদিন কেভিন গামেইরোর গোলে যখন ভ্যালেন্সিয়া এগিয়ে গেলো, তখন বার্সেলোনা ম্যাচের ৯১ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত রাখে ৭৭ ভাগ। পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েও হারতে হয় দলটিকে। কারণ কাজের কাজটিই যে করতে পারেনি তারা। পাল্টা আক্রমণ থেকে প্রথমার্ধেই দুটি গোল আদায় করে নেয় ভ্যালেন্সিয়া। সে দুই গোলের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে কোপা দেল রে'র শিরোপা ঘরে তোলে দলটি।

বার্সেলোনার টানা পঞ্চমবার কোপা দেল রে'র শিরোপা ঘরে তোলার কাজটা যে সহজ হবে তা তাদের জানা ছিল আগেই। কারণ লা লিগায় দুই বারের মোকাবেলায় কেউ কাউকে হারাতে পারেনি। ভ্যালন্সিয়ার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করার পর ন্যু ক্যাম্পের ফলাফলও ছিল ২-২। বার্সেলোনার হয়ে আগের তিনটি গোলই করেছিলেন মেসি। সেই মেসি গোল দিলেন এদিনও। কিন্তু তার একটি গোল যথেষ্ট হয়নি। ফলে ঘরোয়া ডাবল জয় সম্ভব হয়নি কাতালানদের।

অন্যদিকে শেষবার ২০০৭-০৮ মৌসুমে কোপা জিতেছিল ভ্যালেন্সিয়া। এক যুগ পর আবার শিরোপা স্বাদ পেল তারা। এ নিয়ে মোট আটবার কোপা দেল রে জয়ের কৃতিত্ব দেখাল দলটি।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে রদ্রিগোর শট জেরার্দ পিকে গোললাইন থেকে না ফেরাতে পারলে তখনই পিছিয়ে পড়তে পারতো বার্সেলোনা। তবে ২৮তম মিনিটে তাদের আটকাতে পারেনি দলটি। বাঁ প্রান্ত থেকে হোসে গায়ার আড়াআড়ি ক্রসে জোরালো শটে ভালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কেভিন গামেইরো। ব্যবধান বাড়াতে দলটি সময় নেয় পাঁচ মিনিট। এবার ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস কার্লোস সোলের। লাফিয়ে উঠে আলতো হেডে বল জালে পাঠান রদ্রিগো। ২-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ভ্যালেন্সিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি বদল আনেন ভালভার্দে। নেলসন সেমেদো ও আর্থুর মেলোর জায়গায় নামান আর্তুরো ভিদাল ও ম্যালকমকে। তাতে আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়ে। তবে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছিল না তারা। ৫৭তম মিনিটে মেসির শট বার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ফিরতি বলে একেবারে ফাঁকায় পেয়েও জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন ভিদাল। তবে ৭৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান মেসি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে লংলের হেড গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ আর্জেন্টাইন।

এরপরও সমতায় ফিরতে একের পর এক আক্রমণ করে গেছে বার্সেলোনা। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়েছে দলটি। উল্টো অলআউট খেলতে গিয়ে পাল্টা আক্রমণে আরও গোল খেতে পারতো দলটি। সহজ সুযোগ পেয়েও মিস করেন ভ্যালেন্সিয়ার ফরোয়ার্ডরা। তবে তাতে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। ব্যবধান ধরে রেখে ম্যাচ ঠিকই জিতে নিয়েছে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

Every beat of my patriotic heart, every spark of my nation building energy, every iota of my common sense, every conclusion of my rational thinking compels me to most ardently, passionately and humbly appeal to Prof Yunus not to resign from the position of holding the helm of the nation at this crucial time.

6h ago