সাতক্ষীরায় হাসপাতালের পাশের ডোবায় বিপুল পরিমাণ ওষুধ

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রন্ধনশালার পেছনের একটি ডোবায় বিপুল পরিমাণ ওষুধ ভাসছে। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব ওষুধের বড় অংশই উদ্ধার করা হয়নি।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রন্ধনশালার পেছনের একটি ডোবায় বিপুল পরিমাণ ওষুধ ভাসছে। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব ওষুধের বড় অংশই উদ্ধার করা হয়নি।

রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রন্ধনশালার পেছনের একটি ডোবায় বিভিন্ন ওষুধের স্ট্রিপ ভাসছে। এক্সরোল, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, এজিথ্রোমাইসিন, কিলম্যাক্সসহ বিভিন্ন ওষুধ ও কেনোলা পড়ে থাকতে দেখা যায় এখানে। ওষুধগুলোর স্ট্রিপে মেয়াদ লেখা রয়েছে ২০১৫ ও ২০১৮ সাল।

কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার বিকেলের দিকে স্থানীয় শ্রমিকরা ওষুধ ভাসতে দেখে হাসপাতালের কর্মচারীদের জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে তিনি ডোবা থেকে কিছু ওষুধ জব্দ করেছেন। এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বাকি ওষুধগুলো জব্দ করা হবে।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শাহজাহান আলী জানান, তিনি বিষয়টি শনিবার বিকেলের দিকে জানতে পারেন। পরে স্টোরের ওষুধের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন ওই ওষুধগুলো হাসপাতালের নয়। ওষুধগুলো কোথা থেকে এখানে এলো তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. রুহুল কুদ্দুসকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামানকে প্রধান করে, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধির সমন্বয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করেছেন। এই কমিটিকেও সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।                                          

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago