বিশ্বকাপে অনন্য কিছু রেকর্ডের সম্ভাবনা মাশরাফি-সাকিবদের

ক্রিকেট দলীয় খেলা। তবে দলীয় সাফল্যের জয়গান গাওয়ার আগে সুর বেঁধে নিতে হয় ব্যক্তিগত অর্জনগুলোকে এক সুতোয় গেঁথে। ওয়ানডের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, বেশ কিছু ব্যক্তিগত রেকর্ড আর মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সেসব অর্জন নিজেদের নামের পাশে লেখার জন্য বিশ্বকাপই যে সেরা মঞ্চ, তা কি আলাদা করে বলার দরকার আছে?
tamim, mashrafe, shakib, mahmudullah
ফাইল ছবি

ক্রিকেট দলীয় খেলা। তবে দলীয় সাফল্যের জয়গান গাওয়ার আগে সুর বেঁধে নিতে হয় ব্যক্তিগত অর্জনগুলোকে এক সুতোয় গেঁথে। ওয়ানডের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, বেশ কিছু ব্যক্তিগত রেকর্ড আর মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সেসব অর্জন নিজেদের নামের পাশে লেখার জন্য বিশ্বকাপই যে সেরা মঞ্চ, তা কি আলাদা করে বলার দরকার আছে?

ইংল্যান্ডের মাটিতে কয়েকদিন বাদেই শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ বৈশ্বিক আসরে যেসব কীর্তি গড়তে পারেন মাশরাফি-সাকিব-তামিমরা, সেসব নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য এই বিশেষ আয়োজন।

সাকিব আল হাসান, ৬ হাজার রান

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান করার অপেক্ষায় রয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেজন্য তার দরকার ২৮৩ রান। বিশ্বকাপের গেলো আসরে ৬ ম্যাচে ৩৯ দশমিক ২০, তথা গড়ে ১৯৬ রান করেছিলেন বাঁহাতি সাকিব। এবার যেহেতু কমপক্ষে ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, তাই বিশ্বকাপে চলাকালে ৬ হাজারি ক্লাবে ঢুকে যাবেন তিনি- সে প্রত্যাশা করাই যায়।

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিম ইকবাল। টাইগারদের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনিই আছেন ওয়ানডের ৬ হাজারি ক্লাবে। ১৯৩ ম্যাচে ১১ সেঞ্চুরি ও ৪৬ হাফসেঞ্চুরিতে ৬ হাজার ৬৩৬ রান সংগ্রহ করেছেন দেশসেরা ওপেনার।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ৪ হাজার রান

নিঃসন্দেহে ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড আসরে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছিলো তার ব্যাট থেকে। অতিমানবীয় ৭৩ গড়ে ২ সেঞ্চুরিসহ ৩৬৫ রান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবারও তার কাছ থেকে সেরকম পারফরম্যান্স চাইছে বাংলাদেশ শিবির।

ওয়ানডেতে ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে মাহমুদউল্লাহর চাই মোটে ২৪৩ রান। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে লোয়ার মিডল অর্ডারে খেললেও, বিশ্বমঞ্চে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিতে খুব বেশি বেগ পাওয়ার কথা নয় এই স্পিন অলরাউন্ডারের।

মাশরাফি বিন মর্তুজা, অধিনায়ক হিসেবে ১০০ উইকেট

মোট ৭৭টি ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলনেতা হিসেবে খেলে দখল করেছেন ৯৭টি উইকেট। মাত্র ৩টি উইকেট পেলেই উইকেটের সেঞ্চুরি পূরণ হবে ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’-খ্যাত তারকার।

ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে ১০০ বা তার চেয়ে বেশি উইকেটে নেওয়ার কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন- পাকিস্তানের ইমরান খান ও ওয়াসিম আকরাম এবং দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক। এই বিরল তালিকায় চতুর্থ নামটি হতে যাচ্ছে- ‘মাশরাফি’।

সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল, ২০০ ওয়ানডে

বাংলাদেশের জার্সিতে ২০০ ওয়ানডে খেলার স্বাদ এরই মধ্যে নিয়েছেন দুজন- মাশরাফি ও মুশফিকুর রহিম। এই তালিকাটা লম্বা হতে যাচ্ছে আসন্ন বিশ্বকাপেই। বন্ধু-সতীর্থ সাকিব ও তামিম ২০০ ওয়ানডে খেলার মাইলফলক ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে।

ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ২০০৬ সালে অভিষেকের পর থেকে খেলেছেন ১৯৮ ম্যাচ। পরের বছরই লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয় তামিমের। তার নামের পাশে রয়েছে ১৯৩ ম্যাচ।

সাকিব আল হাসান, দ্রুততম ২৫০ উইকেট ও ৫ হাজার রান

ফের সাকিব! ৫ হাজার রানের মাইলফলক তিনি স্পর্শ করেছেন আগেই। এবারে পালা ২৫০ উইকেট নেওয়ার। তাহলেই আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়ে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’-এর। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাককে টপকে ওয়ানডেতে দ্রুততম ৫ হাজার রান করা এবং ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিটা নিজের করে নেবেন তিনি।

১৯৮ ম্যাচে সাকিবের রান ৫ হাজার ৭১৭। উইকেট নিয়েছেন ২৪৯টি। অর্থাৎ অপেক্ষা কেবল একটি শিকারের। উল্লেখ্য, রাজ্জাক রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন ২৫৯তম ম্যাচে। আর সাকিব এখনও দুইশ ওয়ানডেই খেলেননি!

ক্যারিয়ারে ৫ হাজার রান ও ২৫০ উইকেট- এই বিরল কীর্তি আছে সবমিলিয়ে চার অলরাউন্ডারের। রাজ্জাক বাদে বাকিরা হলেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ও শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া।

Comments