পাটকল শ্রমিকদের আংশিক বকেয়া পরিশোধে ১৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ

ঈদের আগে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের একাংশ পরিশোধে ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বকেয়া টাকা শ্রমিকদের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ নয় দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকরা প্রায় দুই মাস আন্দোলন করার পর আংশিক বকেয়া পরিশোধে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। স্টার ফাইল ছবি

ঈদের আগে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের একাংশ পরিশোধে ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বকেয়া টাকা শ্রমিকদের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।

টাকা পরিশোধের পর এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকটি পাটকলের শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ তথ্যসহ তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বকেয়া মজুরির দাবিতে দেশজুড়ে প্রায় দুই মাস ধরে শ্রমিকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিলো সরকার। শ্রমিকদের নয় দফা দাবির মধ্যে বকেয়া মজুরি পরিশোধের বিষয়টি নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে।

লোকসানে থাকা বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজেএমসি) শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে সরকারের কাছে ৩৩৭ কোটি টাকা চেয়েছিল। সরকারি এই সংস্থাটির ২২টি পাটকল ও পাটকল নয় এমন তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩২ হাজার শ্রমিক কর্মচারীর বেতন বকেয়া রেখেছে তারা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, লোকসানের মধ্যে ডুবে রয়েছে বিজেএমসি। এ থেকে সহসা উত্তরণের কোনো আশা নেই। প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক দুর্নীতি, অদক্ষতা ও প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে থাকায় এই লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ কারণে শুরুতেই বিজেএমসিকে এই টাকা দিতে রাজি ছিল না অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিজেএমসিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ৭,৪৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয়ের হিসাব থেকে ঋণ হিসেবে বিজেএমসিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। বছরে দুই কিস্তিতে ৫ শতাংশ সুদসহ আগামী ২০ বছরে এই টাকা পরিশোধ করবে বিজেএমসি।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

11h ago