বড় হারেও চিন্তিত নন বাংলাদেশের স্পিন কোচ

mahmudullah and joshi
ফাইল ছবি

ম্যাচের ফল বলছে, ভারতের কাছে ৯৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে জয়-পরাজয় মুখ্য নয়। মুখ্য হলো- প্রস্তুতি। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশিও জানালেন, ভারত ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলেও তা নিয়ে ভাবছেন না তারা। প্রস্তুতিকেই বড় করে দেখছে বাংলাদেশ দল।

কার্ডিফে মঙ্গলবারের (২৮ মে) ম্যাচের শুরুতে লাগাম ছিল বাংলাদেশের হাতে। প্রথম স্পেলে দারুণ বোলিং করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের পরে আক্রমণে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রুবেল হোসেনও ভালো করেছেন। তাতে এক পর্যায়ে ১০২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।

শুরুর ধাক্কা সামলে ইনিংসের মাঝপথ থেকে উল্টো ছড়ি ঘোরাতে শুরু করে ভারত। কারণ স্পিনাররা সুবিধা করতে পারেননি ততটা। সাকিব আল হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজরা রান দিয়েছেন প্রচুর। বাংলাদেশের দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনারের সম্মিলিত ১১ ওভার থেকেই আসে ৯৮ রান।

এরপর ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৯ রান তুলে ভারত যখন সাজঘরে ফিরছে, তখনই ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড যে ওয়ানডেতেও নেই টাইগারদের! তবুও আশা ছিল জয়ের। কারণ স্কোয়াডে থাকা সব ব্যাটসম্যানই ব্যাটিং করতে পারবেন।

হলোও তাই। বিশ্রামে থাকা তামিম ইকবাল ছাড়া সবাই খেললেন। ব্যাট করতে পারেন এমন দশজন গেলেন উইকেটে। কিন্তু জোড়ায় জোড়ায় উইকেট হারিয়ে নিজেদের বিপদ টেনে আনে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ১৬৯ রান থেকে অলআউট হয় ২৬৪ রানে। লোয়ার অর্ডারে হার্ডহিটাররা ঝড় তুলতে না পারায় ছোঁয়া হয়নি তিনশও।

লিটন দাস-মুশফিকুর রহিম দারুণ দুটি ইনিংস খেলছেন। তবে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে দুজনকেই। সৌম্য সরকারও একেবারে খারাপ করেননি। তবে ভারতের বিশ্বসেরা বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে বাকিরা ছিলেন অসহায়। শেষদিকে মিরাজ-সাইফের ৪৬ রানের জুটি না হলে বাংলাদেশ গুঁটিয়ে যেত আড়াইশর নিচে।

হার নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে চাচ্ছে না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিটাকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে যোশি জানান, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তারা। আর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলই কাজে লাগবে আসন্ন বিশ্বকাপে।

তিনি জানান, ‘আমাদের দেখার ইচ্ছা ছিল, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে-ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে বোলাররা কেমন করে। তাছাড়া পাওয়ার প্লে এবং শেষ ওভারগুলোতে তারা কেমন বোলিং করে তাও জানার ইচ্ছা ছিল আমাদের।’

তার এই কথার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের বোলিং স্কোরকার্ডে। নয় বোলার ব্যবহার করেন মাশরাফি। মোস্তাফিজের হাতে তুলে দিয়েছিলেন নতুন বল। ২৪ ওভার পর্যন্ত আনেননি স্পিন। পার্টটাইম লেগ স্পিনার সাব্বির রহমানকে দিয়ে করান শেষ ১০ ওভারের তিনটি। সাকিবও ডেথ ওভারে বোলিং করেন।

এ প্রসঙ্গে যোশি আরও বলেন, ‘আমাদের সুযোগ ছিল ওদের চেপে ধরার। সাকিব যদি মাঝে আরও কয়েক ওভার বোলিং করতে পারত, তবে ওদের পক্ষে রান তোলা কঠিন হতো। মহেন্দ্র সিং ধোনি ও লোকেশ রাহুলের বিপক্ষে রুবেল দারুণ বল করছিল। আসলে এটা বোলারদের জন্য ভালো সুযোগ ছিল। আমরাও তাদের পরখ করে দেখতে পেরেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

8h ago