মোট কর্মীর ৬৬ শতাংশই নারী
দেশের আটটি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) উৎপাদন খাতে ৬৬ শতাংশ নারী নিয়োজিত থাকার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে নারী কর্মীরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (বেপজা) মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর বাসসকে বলেন, বেপজা দেশে নারী ক্ষমতায়নে একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে। এখানে বিপুল সংখ্যক নারীকর্মী কাজ করেন। দেশের আটটি অঞ্চলে কর্মীর সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৮ জন, যার মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী।
তিনি বলেন, প্রতিবছর এসব অঞ্চলে কর্মী হিসেবে নারীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে। পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের নারীকর্মীরা পর্যায়ক্রমে নেতৃত্বের অবস্থানে চলে আসছে।
নাজমা বলেন, ইপিজেড এলাকায় তাদের কর্মসংস্থানের আগে তারা তাদের নিজ নিজ পরিবারের বোঝা হিসেবে গণ্য হত এবং পরিবারের কোনো ব্যপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারতো না।
তিনি বলেন, এখন তারা আত্মনির্ভরশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল। এখন তারা পরিবারে আর্থিক সহায়তা করতে পারে এবং পারিবারিক সিদ্ধান্তেও অংশ নিতে পারে। এক কথায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইপিজেডে নারীরা মূলধারায় রয়েছে।
উত্তরের জেলাগুলোর নারীদের ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘নর্দার্ন এরিয়া রিডাকশন অফ প্রভার্টি ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্ট (এনএআরআই)’ নামক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো পিছিয়ে থাকা জেলার দরিদ্র ও অসহায় নারীদের তথ্য, কারিগরি ও জীবনমুখী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, অস্থায়ী আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তৈরিপোশাক খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বেপজার বিভিন্ন কারখানায় নিয়োগ পেতে ১০ হাজার ৮০০ কর্মী নিজেদের প্রশিক্ষিত করে তুলেছে বলেও নাজমা জানান।
দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষত শিল্পায়নে সরকার ‘ওপেন ডোর পলিসি’ গ্রহণ করেছে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ উন্নয়ন, আকৃষ্টকরণ এবং সহায়তা প্রদানে বেপজা সরকারের একটি সংস্থা।
বর্তমানে দেশে মোট আটটি বেপজা চালু রয়েছে। সেগুলো হলো: চট্টগ্রাম, ঢাকা, মংলা, ঈশ্বরদী, কুমিল্লা, উত্তরা, আদমজী এবং কর্ণফুলী।
Comments