মোদির শপথে ‘বিশেষ অতিথি’ হাজির করে মমতাকে ‘বিশেষ বার্তা’ দিতে চাইছে বিজেপি
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মারব। কিন্তু, তাতেও কাজের কাজ হয়নি। বিরাট জয় পেয়েছে বিজেপি। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সম্মতি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে আজ (২৯ মে) বলা হয়, মমতার পাশাপাশি মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরও কয়েকজন ‘বিশেষ অতিথি’। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের হাতে ‘নিহত’ ৫০ জন বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরাও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের ‘বিশেষ অতিথি’র মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এবং মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই বৈঠকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ৫০ জন কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দুজন।
মন্ত্রিসভায় কারা কারা থাকতে পারেন, তার পাশাপাশি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কারা থাকবেন তা নিয়েও দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের হাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ এমন ৫০ জনের পরিবারের সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। আবশ্যিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের নেত্রীকে বার্তা দিতেই এমন ব্যবস্থা।
গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিজেপি দাবি করে বেশ কয়েকজন কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। একইভাবে গত এক বছরে বিজেপি কর্মীদের খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলেরও দাবি পশ্চিমবঙ্গে বাইরে থেকে লোক নিয়ে সন্ত্রাস করছে বিজেপি।
কিন্তু, কেনো নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে? বিজেপি নেতারা বলছেন দলের কর্মীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতেই এই ব্যবস্থা। তাদের বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে তৃণমূল যদি আগামী দিন আবারও পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস করে তাহলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের পাশেই থাকবে। আর তাই যে অনুষ্ঠানে খোদ তৃণমূল প্রধান হাজির থাকছেন সেখানেই এই কর্মীদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
Comments