তরুণদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে যেতে চান মরগানরা
ক্রিকেটের আদিভূমি ইংল্যান্ডেই। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ আয়োজনও করেছে তারা। কিন্তু তারপরও বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি ইংলিশদের। শিরোপা খরায় দেশটির ক্রিকেট জনপ্রিয়তাও কিছুটা হলেও কমছে। তবে এবার ঘরের মাঠে দারুণ কিছু করে দেখাতে চান অধিনায়ক ইয়ন মরগান। আর তা করতে পারলে দেশের প্রত্যেক তরুণের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হবে তা ভালো করেই জানেন অধিনায়ক।
তার দল যদি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে তবে আগামী প্রজন্ম ক্রিকেটে এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করেন মরগান, 'বিশ্বকাপ খেলাটির প্রোফাইলও উন্নত করবে। এবং এ দেশের সব তরুণদের জন্য মঞ্চ তৈরি করবে। এতে তারা তাদের নায়ককে পাবে, যাদের অনুপ্রেরণায় তারা বল অথবা ব্যাট হাতে নিবে।'
সবশেষ ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল দেশটি। কিন্তু সেবার খুব একটা আগাতে পারেনি তারা। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। সে স্মৃতি এখনও মনে আছে মরগানের, 'বিশ্বকাপের প্রভাবটা বড় হবে না যদি না আমরা অনেক দূর আগাতে পারি। যদি পারি তাহলে জনমনে প্রভাব ফেলবে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে খুব দ্রুতই বাদ পড়েছিলাম। আমার এটা এখনও মনে আছে, যেন গতকালই ঘটনাটা ঘটেছে।'
দুই বছর আগে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ডের নারী দল। তার প্রভাবটা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন মরগান। তাই তারা ভালো কিছু করতে পারলে তাহলে সেটা আরও দুর্দান্ত হবে বলে জানান অধিনায়ক, 'দুই বছর (নারী) বিশ্বকাপ জয়টা দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। মেয়েদের ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে এটা আমাদের জন্য অনেক কিছু বলে দেয়। আমি ধারণা করতে পারছি না কি হবে।'
কদিন আগে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ছেড়ে ইংলিশরা। এবার যে ভালো কিছু হতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। মরগানের ভাষায়, ‘আমাদের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে। এবং ফেভারিট পরিচিতি পাওয়ার কারণও আছে। গত দুই বছরে বিশেষ করে ঘরের মাঠে আমরা ছিলাম অসাধারণ। ড্রেসিংরুমে সবার মধ্যে বিশ্বাস আছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ক্রিকেট খেলছে ইংলিশরা। গত চার বছর মাঠে প্রায় এক চেটিয়া দাপট দেখিয়েছে। শেষ ১৯ সিরিজের মধ্যে ১৫টিতেই জয়। তাই দারুণ অনুপ্রাণিত দলটি। প্রথম দিনই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে দলটি। তবে ইনজুরির কারণে মার্ক উড, জোফরা আর্চার ও লিয়াম ডসনকে নাও পেতে পারে দলটি। কিন্তু তারপরও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী অধিনায়ক, ‘প্রথম ম্যাচ সবসময় ভিন্ন এবং এটাই স্বাভাবিক। চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করা একটা চ্যালেঞ্জ কিন্তু আমরা প্রস্তুত।’
Comments