শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ৪ স্তরের নিরাপত্তা
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদকে সামনে রেখে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা। প্রায় ৪০০ পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সদস্য এখানে কাজ করবেন। পুরো ঘাটে থাকবে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব মিলিয়ে পুরা ঘাট থাকবে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। যানজট নিরসনে নেওয়া হয়েছে আরও নানা উদ্যোগ।
আজ (৩০ মে) সকালে শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম এবং ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধন করেন।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গণি তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, ডিআইজি আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে শিমুলিয়া ঘাটসহ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যানজট নিরসন ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ফোর্সদের ব্রিফিং প্যারেডে অংশ নেন।
প্রস্তুত ঘরমুখো মানুষদের পার করতে প্রস্তুত শিমুলিয়াঘাট
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়াঘাট প্রস্তুত ঘরমুখো মানুষদের পার করতে। স্থানীয় প্রশাসন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে জেল-জরিমানা, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা, স্পিডবোটের লাইফ জ্যাকেট, লঞ্চের প্রয়োজনীয় বয়া এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়েছে।
এছাড়াও ঈদের ৩ দিন আগে থেকে মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দূরপাল্লার বাস বিশেষ করে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের এলাকার যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পরিবর্তে আরিচা দিয়ে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের উন্নয়নমূলক কাজ চলতে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে প্রশাসন।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাবিরুল ইসলাম জানান, “ঈদের তিনদিন আগে ও পরে মোট ছয় দিন ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, ১৮টি ফেরি ও দুই ঘাট মিলিয়ে ৫৪০টি স্পিডবোট চলাচল করবে। তবে এখন ফেরি চলছে ১৫টি। চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘাট এলাকায় থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আসন্ন ঈদে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগের কোনও আশঙ্কা নেই।”
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে ভ্রাম্যমাণ ১০টি টয়লেট এবং ঈদের দিনে নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। ইউএনও আরও জানান, উত্তাল পদ্মায় যাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনও নৌযান চলাচল করতে না পারে তা প্রতিরোধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঈদের ৩ দিন আগে ও পরে মোট ৬ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
মাওয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে পৌঁছাতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Comments