উন্নত এশিয়া গড়তে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ ধারণা পেশ

উন্নত এশিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঁচটি ধারণা পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সংলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চায়। যা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিশ্ববাসীর জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।
PM Photo
৩০ মে ২০১৯, উন্নত এশিয়া গড়তে নিক্কেই সম্মেলনে পাঁচটি ধারণা পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

উন্নত এশিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঁচটি ধারণা পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সংলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চায়। যা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিশ্ববাসীর জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।

আজ (৩০ মে) জাপানের টোকিওতে স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত নিক্কেই সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধে এ কথা বলেন। নিক্কেই সম্মেলনের শিরোনাম হচ্ছে ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ’। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশৃঙ্খলা দূর করে একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা চাই।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

এশিয়ার নেতৃবৃন্দের সামনে একটি সমৃদ্ধ এশিয়া গড়ে তোলার জন্য পাঁচটি ধারণা উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একে বাস্তবে রূপদান করতে সরকার হিসেবে আমরা আমাদের ভূমিকা পালন করেছি এবং এ সম্পর্কে আপনাদের অভিমত ব্যক্ত করার জন্য এখানে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”

প্রথম ধারণা

প্রথম ধারণায় শেখ হাসিনা বলেন, “বর্তমান বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং সংঘাতে পরিপূর্ণ। তাই আমাদের বৃহৎ উদারতায় বিশ্বকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করা প্রয়োজন, বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবিলা করা, স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার সুরক্ষা করা এবং উদ্ভাবনী ধারণা এবং পদক্ষেপের ব্যবহার করে সহযোগিতার নতুন উদ্দীপনা জোরদার করা।”

দ্বিতীয় ধারণা

দ্বিতীয় ধারণায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অংশীদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দলগত কর্মকাণ্ডকে অতিক্রম করে অর্থনীতিকে উদ্ভাবনী চর্চার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সম্মানের ওপর ভিত্তি করে অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে হবে, জনগণের লাভের জন্য এবং সাধারণ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সবার জন্য সমান সুবিধাজনক কৌশল গ্রহণ করতে হবে।”

তৃতীয় ধারণা

তৃতীয় ধারণায় শেখ হাসিনা বলেন, “এশীয় দেশগুলোকে খোলা মন নিয়ে পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে, অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে, সমতা, অংশীদারিত্ব এবং যৌথ অনুদানের ভিত্তিতে।”

চতুর্থ ধারণা

চতুর্থ ধারণায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক ধারাবাহিকতা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবার জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই এবং সমতাভিত্তিক উন্নয়নের ওপর এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।” তিনি বলেন, “আমাদের সংঘবদ্ধভাবে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। সে জন্য আমরা একটি গোত্রবদ্ধ হয়ে দলগতভাবে বিশ্ব শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে পারি, যার লক্ষ্য হবে একটি বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর যথাযথ অধিকার এবং স্বার্থকে সংরক্ষণ করা।”

পঞ্চম ধারণা

যোগাযোগ সম্প্রসারণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা যোগাযোগব্যবস্থারই একটি গতিশীলতা, যেটি বিশ্বজুড়ে শান্তি এবং সমৃদ্ধির ভিত রচনা করেছে। অবকাঠামো, মুক্ত বাণিজ্য এবং সহজ বিনিয়োগ এশিয়ার উন্নয়নের ভিত্তি।”

Comments

The Daily Star  | English

Unrest emerges as a new threat to RMG recovery

The number of apparel work orders received by Bangladeshi companies from international retailers and brands for the autumn and winter seasons of 2025 dropped by nearly 10 percent compared to the past due to major shocks from the nationwide student movement and labour unrest in major industrial belts over the past two and half months.

9h ago