স্টাম্পে লাগলো বল, তবুও আউট হননি ডি কক
এমন নয় যে উইকেটে হালকা চুমু খেয়েছে, পুরো স্টাম্পেই আঘাত লাগল বলটি। এমনকি দিক বদলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের গ্লাভসকেও ফাঁকি দিল। আধুনিক জিং বেলের কারণে বাতি জ্বলতেও দেখা গেল। কিন্তু আউট হলেন না কুইন্টন ডি কক। ওই দিকে বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না বোলার আদিল রশিদের।
দক্ষিণ আফ্রিকান ইনিংসের ১১তম ওভারের পঞ্চম বলের কথা। ওই ওভারেই বদলী বোলার হিসেবে বল হাতে নেন রশিদ। পঞ্চম বলটি গুগলি দিয়েছিলেন এ লেগস্পিনার। তাতে সাফল্য প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন। বুঝতে পারেননি ব্যাটসম্যান ডি কক। রিভার্স সুইপ করতে গেলে প্যাড ঘেঁষে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। বাটলার বোল্ড ভেবে উল্লাস করে ওঠেন। উল্লাস করেন বোলার রশিদও। বল স্টাম্পে লেগেছে ঠিকই, কিন্তু বেল না পড়ায় আউটের হাত থেকে বেঁচে গেলেন ডি কক। উল্টো বল চলে যায় সীমানার বাইরে। ৪টি রান পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আধুনিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। সাধারণ বেলের চেয়ে এলইডি বেল কিছুটা ভারি থাকে। আর তাই মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনা দেখা যায়। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলেও ঘটেছে দুইবার। দুইবারই ভাগ্যবঞ্চিত হয়েছে রাজস্তান রয়েলস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ধবল কুলকার্নি বল ক্রিস লিনের ব্যাটে লেগে স্টাম্পে লাগলেও বেল পড়েনি। মজার ব্যাপার সেদিন উইকেটরক্ষক ছিলেন বাটলার। সেদিনও তার গ্লাভস ছুঁয়ে বাউন্ডারির পার হয়ে যায় বল। এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষেও একই ঘটনা। জোফরা আর্চারের বলে এম এস ধোনির পায়ে লেগে বল স্টাম্পে লাগলেও বেল পড়েনি।
এই ইংল্যান্ডেও এমন উদাহরণ রয়েছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এমন ঘটনা ঘটেছে। জাসপ্রিত বুমরাহর বল আঘাত লেগেছিল স্টাম্পে। কিন্তু বেল না পড়ায় সেবার বেঁচে যান পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ।
এমন ঘটনা আছে বিশ্বকাপেও। ২০১৫ বিশ্বকাপেই ঘটেছে দুইবার। গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরেতের ম্যাচের একাদশ ওভারে পেসার আমজাদ জাভেদের বল আঘাত লাগে স্টাম্পে। উইকেটে তখন ছিলেন এড জয়েস। বেল না পাওয়ায় জীবন পান তিনি। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বেঁচে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। অসি পেসার জশ হ্যাজেলউডের বল উইকেটে লাগলেও স্টাম্প পড়েনি।
Comments