বিশ্বকাপেও থামেনি পাকিস্তানের ভোগান্তি
মাঠের নামার আগেই আলোচনা কেমন করবে পাকিস্তান? কারণ সাম্প্রতিক কালে যে সময়টা খুব বাজে কাটছে তাদের। শেষ ১০টি ওয়ানডে ম্যাচে টানা হার। প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের মতো দলের কাছেও জিততে পারেনি তারা। তবে সব ভুলে বিশ্বকাপে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করেছিল দলটি। কিন্তু তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। উইন্ডিজের সঙ্গে ২১.৪ ওভারে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গেছে দলটি।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরুতেই দারুণ কিছু শট খেলে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওপেনার ফাখার জামান। তবে আরেক ওপেনার ইমাম উল হকের উইকেট তুলে নেওয়ার পর বদলে যায় পরিস্থিতি। যদিও উইকেটে নেমে বাবর আজমও খেলছিলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট। তখনই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনে উইন্ডিজ। বল হাতে নিয়েই ফাখারকে বোল্ড করেন আন্দ্রে রাসেল।
এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার পালা। উইকেটে নেমেই তড়িঘড়ি করতে গিয়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে দলীয় ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এ পর্যন্ত দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের স্কোরটি ২২। ফাখার ও বাবরের দুইজনই এ পরিমাণ রান করেন। এ দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া কেবল দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পেরেছেন মোহাম্মদ হাফিজ (১৬) ও ওয়াহাব রিয়াজ (১৮)।
মূলত রিয়াজের ব্যাটেই দলটি একশর কোটা পেরিয়েছে। বর্ণহীন ম্যাচে শেষ দিকে ১টি চার ও ২টি ছক্কা মেরে দর্শকদের কিছুটা বিনোদন দিয়েছেন তিনি। উইন্ডিজের প্রায় সব বোলারই ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। তবে সেরা বোলার তরুণ ওশানে থমাসই। ২৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪টি উইকেট। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া রাসেল ২টি ও শেল্ডন কট্রেল ১টি উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২১.৪ ওভারে ১০৫ (ইমাম ২, ফাখার ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ইমাদ ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩; কটরেল ১/১৮, হোল্ডার ৩/৪২, রাসেল ২/৪, ব্র্যাথওয়েট ০/১৪, থমাস ৪/২৭)।
আরও পড়ুন:
Comments