বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত বড় রান কেন হচ্ছে না, ব্যাখ্যা মাশরাফির
বিশ্বকাপের আগে হাইস্কোরিং ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কতো হইচই। ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের রানের বন্যা দেখে সেই হইচই আরও বেড়েছিল। বড় রান করা বা তাড়া করা নিয়ে সব দলেরই ছিল আলাদা চিন্তা ভাবনা। কিন্তু প্রথম চার ম্যাচে দেখে মিলল ভিন্ন ছবি। আগে ব্যাট করে কেবল ইংল্যান্ডই ছাড়াতে পেরেছে তিনশো। উইকেটে আহামরি বিষ নেই। তবু কেন রান এত কম হচ্ছে তার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
বড় রান হচ্ছে না, একটু কি আশ্চর্য? দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচদের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক দিলেন পুরো ব্যাখ্যা, ‘একটু সময় লাগছে। আমার ধারনা ৫/৬টা ম্যাচ হওয়ার পর ঠিক হয়ে যাবে। সবাই ৩০০/৪০০ রান দেখে শুরু থেকে পেটাতে গিয়ে আউট হচ্ছে। চাপ তৈরি হচ্ছে। সব দলই প্রত্যাশা করছে এখানে সাড়ে তিনশো রান না হলে জিততে পারবো না। এই মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমে মারতে গিয়ে উইকেট পড়ে যাচ্ছে। ’
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং সামলে ইংল্যান্ড করেছিল ৩১১। ওই রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ২০৭ রানেই শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস। পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে মাত্র ১০৫ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১৩৬ রানে কাবু হয়ে ১০ উইকেটে উড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তান করতে পারে মাত্র ২০৭ রান।
মাশরাফি শুরুর এই রান খরার কারণ হিসেবে শুরতেই উইকেট খোয়ানো আর দলগুলো মানিয়ে নেওয়ায় সমস্যা দেখছেন, ‘এখনো পর্যন্ত যেসব ম্যাচ দেখেছি বড় রান হচ্ছে না, হয়তবা শুরুতে উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণেই হচ্ছে না। ওভালে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করার পরও তিনশো করেছে। হয়ত ওদের কৌশল একটু অন্যরকম ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য হয়ত হাশিম আমলার চলে যাওয়া ওদের অনেক বড় । একটা ঘটনার পেছনে ছোটখাট কারণ একটা দলকে পিছিয়ে দেয় বা এগিয়ে নেয়। সব কিছুরই একটা কারণ থাকে। আমার মনে হয় এখানে শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে বড় রান করা কষ্ট হবে।’
রান পেতে অন্যদের এমন পেরেসানি দেখে নিজেদের পরিকল্পনাটাও বুঝে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ঠিক করেছেন সাফল্যের তরিকা, ‘যদি ব্যাট করি মাথায় রাখতে হবে শুরুতে উইকেট যেন না দেই, আবার বোলিং করলে শুরুতে উইকেট নিতে হবে। এইটা আমার মনে হয় সেরা পথ ইংল্যান্ডে খেলার জন্য।’
Comments