দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন আর ছোট দল নয় তার আরও একটি প্রমাণ রাখল টাইগাররা। এশিয়া দেশগুলো যেখানে হিমসিম খাচ্ছিল, সেখানে দারুণ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে তারা। ব্যাট বলে দুই বিভাগেই দারুণ খেলে দলীয় জয়ের দৃষ্টান্ত রেখে বিশ্বকে জানিয়ে দিল এবারের বিশ্বকাপে ভিন্ন কিছুর প্রত্যাশায় এসেছে মাশরাফিরা।
আগে ব্যাট করে ৩৩০ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল। এতো বড় পুঁজি কখনোই পাইনি টাইগার বোলাররা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এমন রানে উজ্জীবিত ছিলেন বোলাররা। তবে ইংল্যান্ডের মাঠে যে এমন লক্ষ্য হরহামেশাই চেজ হয়। তাই ছিল কিছুটা শঙ্কাও। তবে মাঠে উজার করেই দিয়েই জয় পায় তারা।
ইংল্যান্ডের মাঠ বলেই আশাটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। জিতলে হলে রেকর্ড গড়তে হতো তাদের। শুরুটাও খারাপ করেনি। তবে দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কার্যকরী বোলিংয়ের সঙ্গে দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজও করেছেন দারুণ বোলিং। ৩০৯ রানে আটকে রাখে প্রোটিয়াদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিঠুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; লুঙ্গি ০/৩৪, রাবাদা ০/৫৭, ফেলুকওয়ায়ো ২/৫২, মরিস ২/৭৩, মার্করাম ০/৩৮, তাহির ২/৫৭, ডুমিনি ০/১০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩০৯/৮ (ডি কক ২৩, মার্করাম ৪৫, দু প্লেসি ৬২, মিলার ৩৮, ডুসেন ৪১, ডুমিনি ৪৫, ফেলুকওয়ায়ো ৮, মরিস ১০, রাবাদা ১৩*, তাহির ১০*; মোস্তাফিজ ৩/৬৭, মিরাজ ১/৪৪, সাইফউদ্দিন ২/৫৭, সাকিব ১/৫০, মাশরাফি ০/৪৯, মোসাদ্দেক ০/৩৮)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)।
এবার ডুমিনিকে বোল্ড করলেন মোস্তাফিজ
এক প্রান্তে উইকেট নিলেও অপর প্রান্তে টাইগারদের বাধা হয়ে ছিলেন জেপি ডুমিনি। শুরুতে কিছুটা দেখে শুনে খেললেও পড়ে খোলস ছেড়ে বেশ আগ্রাসী ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তবে বড় ক্ষতি করার আগে তাকে বিদায় করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বোল্ড করে দিয়েছেন তাকে। তবে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে করেছেন ৪৫ রান।
দলীয় ২৮৭ রানে ডুমিনির উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৪৮ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯১ রান।
মরিসকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
হাই ফুলটাসে এর আগে সাফল্য পেয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এবার পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ডিপ মিডউইকেট সীমানার উপর দিয়ে পার করতে চেয়েছিলেন ক্রিস মরিস। তবে বাউন্ডারি লাইনে সৌম্য সরকারের সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। দলীয় ২৭৫ রানে আউট হওয়া মরিস ১০ বলে করেছেন ১০ রান।
তবে আরেক প্রান্তে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন জেপি ডুমিনি। ব্যাট করছেন ৪৫ রানে। ৪৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৭ রান।
সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার
ভয়ঙ্কর ভ্যান ডার ডুসেনকে আগের ওভারেই বোল্ড করেছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরের ওভারে ফেরালেন আন্দিল ফেলুকওয়ায়োকে। তার হাই ফুলটাস বল ড্রাইভ করেছিলেন এ প্রোটিয়া। তবে নিয়ন্ত্রণ ছিল না শটে। শর্ট মিডঅনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ২২২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ রান করেছেন ফেলুকওয়ায়ো।
তবে এখনও উইকেটে আছেন জেপি ডুমিনি। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। ব্যাট করছেন ২৬ রানে। ৪৪ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫৯ রান।
ভয়ঙ্কর ডুসেনকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
আগের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে টানা দুটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন ভ্যান ডার ডুসেন। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন তিনি। অবশেষে তাকে ফেরাতে পেরেছেন টাইগাররা। তৃতীয় স্পেলে বল করতে এসে প্রথম বলেই তাকে বোল্ড করে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩৮ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি।
দলীয় ২২৮ রানে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম উইকেট। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ডুমিনি
মোস্তাফিজুর রহমানের করা ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে জেপি ডুমিনিকে এলবিডাব্লিউর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন গেছেন এ প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। রিপ্লেতে দেখা যায় উইকেটের সামান্য উপর দিয়ে যেতো বলটি। এ সময় চার রানে ব্যাট করছিলেন ডুমিনি।
৩৮ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৩ রান। ৩৯ রানে ব্যাট করছেন ভ্যান ডার ডুসেন।
মিরাজের দারুণ ক্যাচে আউট মিলার
ব্যক্তিগত ১৬ রানে সৌম্য সরকারের হাতে জীবন পেয়েছিলেন মিলার। জীবন পেয়েই বাংলাদেশের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন তিনি। তবে বড় ক্ষতি করার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে এ আউটে কৃতিত্ব বেশি মিরাজেরই। মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন তিনি। ৩৫.১ ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৩ বলে ৩৮ রান করেছেন মিলার।
৩৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৫ রান। ২৫ রানে ব্যাট করছেন ডুসেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন জেপি ডুমিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুইশ ও ডুসেন-মিলারের জুটিতে ৫০
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শর্ট বলটি দারুণভাবে ঘুড়িয়ে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারলেন মিলার। তাতে দলীয় দুইশত রানের কোটা স্পর্শ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সঙ্গে ভ্যান ডার ডুসেনের সঙ্গে জুটির পঞ্চাশও রানও পূরণ করেন। ৩৪.২ ওভারে আসে দলীয় দ্বিশতক। প্রথম শতকটি তারা করেছিল ১৯ ওভারে। দ্বিতীয় একশ রান বেশ দ্রুত গতিতেই করে তারা। ১৫.২ ওভারে আসে এ রান। আর ডুসেন ও মিলারের জুটির পঞ্চাশ রান আসে ৪৬ বলে।
জীবন পেলেন মিলার
ইনিংসের ৩০তম ওভারে ফের বোলিং এসেচ্ছেন সাকিব। উইকেটও প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন। তৃতীয় বলটি উইকেট থেকে বেড়িয়ে শট করেন ডেভিড মিলার। মিডঅনে ঝাঁপিয়ে সে বল হাতে লাগিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তবে তালুবন্দি করতে পারেননি। এ সময় ১৬ রানে ব্যাট করছিলেন মিলার।
৩০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৮ রান। ১৯ রান ব্যাট করছেন মিলার। ভ্যান ডার ডুসেন আছেন ১৪ রানে।
বিপদজনক দু প্লেসিকে ফেরালেন মিরাজ
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ফু প্লেসি। হাত খুলে ব্যাট করে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এগিয়ে হিয়ে ছক্কা হাঁকানো উদ্দেশ্য ছিল তার। তবে টার্ন নেওয়ায় মিস করেন বল। আর তাতে স্টাম্প ভাঙলে উল্লাসে মাতেন মিরাজ। তবে আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে খেলেছেন ৬২ রানের ইনিংস। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
২৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৭ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ভ্যান ডার ডুসেন। ডেভিড মিলার ব্যাট করছেন ১২ রানে।
দু প্লেসির হাফসেঞ্চুরি
বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে শুরু থেকেই সাবলীল ভাবে ব্যাট করছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। ধীরে ধীরে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। মাত্র ৪৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ছক্কা মেরেই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।
২৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৩ রান। দু প্লেসি ৫৯ ও মিলার ১১ রানে ব্যাট করছেন।
মার্করামকে ফিরিয়ে সাকিবের বিশ্বরেকর্ড
শুরু থেকেই দেখে শুনে বেশ সাবধানে ব্যাট করছিলেন আইডেন মার্করাম। ধীরে ধীরে বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন। তবে বড় বিপদ ডাকার আগে তাকে ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বোল্ড করে দিয়েছেন মার্করামকে। তাতে ওয়ানডেতে ২৫০ উইকেট পেলেন তিনি। একই সঙ্গে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাকের রেকর্ডও ভাঙলেন তিনি। দ্রুততম পাঁচ হাজার রান ও আড়াইশ উইকেটের কীর্তি এখন সাকিবের। রাজ্জাক করেছিলেন ২৩৪ ম্যাচে। ১৯৯ ম্যাচ খেলেই নতুন রেকর্ড গড়লেন সাকিব।
দলীয় ১০২ রানে আউট হয়েছেন মার্করাম। তবে আউট হওয়ার খেলেছেন ৪৫ রানের ইনিংস। ৫৬ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৩ রান। ৩৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন অধিনায়ক দু প্লেসি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন ডেভিড মিলার।
মার্করাম-দু প্লেসি জুটিতে ৫০ ও দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় ১০০
রানআউটের সুবাধে ওপেনিং জুটি ভাঙতে পেরেছে টাইগাররা। তবে এখনও সুবিধা করে উঠতে পারেননি বোলাররা। উইকেটে নেমেই সাবলীল ভাবে ব্যাট করছেন অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। ওপেনার আইডেন মার্করামও দারুণ ব্যাট করছেন। তাতে ইতোমধ্যেই শতরানের কোটা পার করেছে দলটি। ১৯ ওভারে একশ রান করে দলটি। ৯.৫ ওভারে প্রথম পঞ্চাশ রান করেছিল তারা। দ্বিতীয় পঞ্চাশ রান তারা করে ৯.১ ওভারে। বাংলাদেশ তাদের শতরানের কোটা পার করেছিল ১৬ ওভারে। তবে উইকেট হারিয়েছিল ১টি বেশি।
১৯ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১০০ রান। এ ওভারেই মার্কারাম ও দু প্লেসির দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছেন। মার্করাম ৪৪ ও দু প্লেসি ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
রানআউটে ডি কককে বিদায় করল বাংলাদেশ
সতীর্থের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারৎ দিয়ে আউট হলেন কুইন্টন ডি কক। মেহেদী হাসান মিরাজের বলটি ঠিকভাবে খেলতে পারেননি এ ওপেনার। ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে ক্যাচ উঠলে তা মিস করেন উইকেটরক্ষক মুশফিক। আর এ ফাঁকে রান নিতে উইকেট ছেড়ে বের হন তিনি। কিন্তু তার ডাকে সাড়া দেননি এইডেন মার্করাম। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। সহজেই স্টাম্প ভাঙেন মুশফিক। তাতে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি। ব্যক্তগত ২৩ রানে আউট হন তিনি।
ডি কক আউট হওয়ার পর উইকেটে এসেই সিঙ্গেল নিয়ে দলীয় অর্ধশত পূরণ করেন অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। ১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫১ রান। মার্করাম ব্যাটিং করছেন ২৭ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবধানী সূচনা
লক্ষ্যটা বিশাল। ৩৩১ রানের। জিতলে হলে বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড গড়তে হবে দলটিকে। সে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দেখে শুনেই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। ৫ ওভার শেষে ২৭ রান তুলেছে দলটি। ডি কক ১৪ ও মার্করাম ১৩ রানে ব্যাট করছেন।
দ. আফ্রিকাকে ৩৩১ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
শুরুতে আগ্রাসী ব্যাট চালিয়ে পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তাদের দেখানো পথ ধরে রাখেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুই সেরা ব্যাটসম্যানের হাফ সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় টাইগাররা। আর তাতে নিখুঁত ফিনিশিং এনে দেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে যোগ্য সহায়তা করেন মোসাদ্দেক হোসেন। দারুণ এক দলীয় পারফরম্যান্সে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
শেষ ১০ ওভারে ৮৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তাতে সবচেয়ে বড় অবদান মাহমুদউল্লাহর। ৩৩ বল মোকাবেলা করে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন এ ব্যাটসম্যান।
বিশ্বকাপে তো বটেই, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটা। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছিল তারা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানটিও ওই বছরের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে করে টাইগাররা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩২২ রান তুলেছিল দলটি। জিততে হলে বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড গড়তে হবে প্রোটিয়াদের। কারণ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের তোলা ৩২৭ রান তাড়া করে জিতে রেকর্ড গড়েছিল দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিঠুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; লুঙ্গি ০/৩৪, রাবাদা ০/৫৭, ফেলুকওয়ায়ো ২/৫২, মরিস ২/৭৩, মার্করাম ০/৩৮, তাহির ২/৫৭, ডুমিনি ০/১০)।
মোসাদ্দেকের বিদায়ে ভাঙল জুটি
মাহমুদউল্লাহ সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তবে মরিসের বলটি পিছিয়ে মিডঅফে দাঁড়ানো ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে পার করতে চেয়ে ভুল করে ফেলেন তিনি। ফেলুকওয়ায়োর হাতে ধরা পড়েন। ভাঙে ৬৬ রানের জুটি। তবে এর আগেই দলের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
মোসাদ্দেক ঝড়ে তিনশ পার বাংলাদেশের
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে চাপ সামলে নিয়েছেন টাইগাররা। শুরুতে কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে দারুণ আগ্রাসী ঢঙে ব্যাট করছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। স্লগ ওভারে দলের রান বাড়িয়ে নিতে কার্যকরী ব্যাট করে এর মধ্যেই দলকে পৌঁছে দিয়েছেন তিনশ রানের কোটায়। ৪৮ ওভারে এলো দলের তিনশ রান। প্রথম একশ রান এসছিল ১৬ ওভারে। দ্বিতীয় একশ ১৭ ওভারে। তবে তৃতীয় একশ রান তুলতে কিছুটা কম বল খেলেছে টাইগাররা। ১৫ ওভারে এ একশ রান করে তারা।
৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩০২ রান। মোসাদ্দেক ২৬ ও মাহমুদউল্লাহ ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
মুশফিকের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ
সাকিব ও মিঠুনের দ্রুত বিদায়ে মুশফিকের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এ ব্যাটসম্যান শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান তুলতে সক্ষম। তবে হতাশ করেছেন তিনি। আরও একবার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে আউট হয়ে গেলেন ব্যক্তিগত ৭৮ রানে। আন্দিল ফেলুকওয়ায়োর অফস্টাম্প থেকে বেশ বাইরে রাখা শর্ট বলে এগিয়ে গিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে বলে সংযোগও হয়েছিল ভালো। তবে ব্যকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়েন ভ্যান ডার ডুসেনের হাতে।
দলীয় ২৫০ রানে আউট হন মুশফিক। এর আগে ৮০ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬০ রান।
তাহিরের দ্বিতীয় শিকার মিঠুন
ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন সাকিব। সে ধারায় হাঁটলেন মোহাম্মদ মিঠুনও। তার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টপ স্পিন বুঝতে পারায় বল ঠিকভাবে লাগাতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। অথচ সাবলীল ভাবেই উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২১ বলে করেছিলেন ২১ রান।
দলীয় ২৪২ রানে ভাঙে এ জুটি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪৫ রান। ৭৬ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক।
সাকিবের বিদায়ে ভাঙল রেকর্ড জুটি
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের জুটিতে হয়েছে রেকর্ড। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি এখন তাদের দখলে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৪২ রান।
আগের রেকর্ড ছিল মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর। গেল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা গড়েছিলেন ১৪১ রানের জুটি। তবে নতুন রেকর্ড গড়ার পরই সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব। তাহিরের বল সুইপ করতে গিয়ে বেশি সরে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে-বলে সংযোগটা তাই হয়নি। বরং ফাঁক গলে সোজা স্টাম্পে গিয়ে লাগে বল।
বাঁহাতি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৮৪ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ১ ছয়। তার উইকেটটি পেলেন ইমরান তাহির। দলীয় ২১৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২২২ রান। ৭১ রানে থাকা মুশফিকের সঙ্গী মাত্রই নামা মোহাম্মদ মিঠুন।
বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ
দারুণ ব্যাট করছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যেই পার করেছেন নিজেদের ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। শতরান পার হওয়া নিজেদের জুটিকেও সমৃদ্ধ করছেন। এবার দলীয় দুইশ রান পার করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ৩৩ ওভারে এলো দলীয় দ্বিশতক। প্রথম শতকের চেয়ে কিছুটা ধীরে। প্রথম একশ রান তারা করেছিল ১৬ ওভারে। পরের শতক করতে লাগলো ১৭ ওভার।
৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২০৭ রান। ৬৭ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। মুশফিক উইকেটে আছেন ৬৯ রান নিয়ে।
সাকিবের পর মুশফিকের ফিফটি
মেরেকেটে খেলতে থাকা সৌম্য আউট হওয়ার পর উইকেটে গিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটসম্যান খেলছেন দারুণ। স্ট্রাইক বদলে রানের চাকা সচল রাখছেন। সুযোগ পেলে বাউন্ডারি হাঁকাতেও দ্বিধা করছেন না। গেল কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকতার সমার্থক হয়ে ওঠা মুশফিক তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে এটি তার পঞ্চম ফিফটি।
ইনিংসের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন মুশফিক। তার ইনিংসে এখন পর্যন্ত চারের মার ৬টি। ২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮২ রান।
সাকিব-মুশফিক জুটিতে শতরান
দুই ওপেনার হারানোর পর দলের হাল দারুণভাবেই ধরেছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পরিস্থিতির দাবী মিটিয়ে ব্যাটিং করে শুরুর ধাক্কাটা সামলে এর মধ্যেই শতরানের জুটি গড়েছেন তারা। ৯৫ বলে এসেছে এ জুটির শতরান। যাতে সাকিবের অবদান ৫১ ও মুশফিকের ৪৮ রান।
সাকিবের ফিফটি
উইকেটে নেমেই আস্থার সঙ্গে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যেই দুই ওপেনার হারানোর ধাক্কাটা মুশফিককে নিয়ে সামলেছেন তিনি। এবার তুলে নিলেন নিজের ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে করা ফিফটি করতে ৫৪ বল খেলেছেন এ অলরাউন্ডার। মরিসের করা ২৬তম ওভারে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হলে থার্ডম্যান দিয়ে চার পান তিনি। তাতেই পৌঁছান হাফসেঞ্চুরিতে। এটা তার ক্যারিয়ারের ৪৩তম হাফসেঞ্চুরি।
২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭০ রান। সাকিব ৫২ ও মুশফিক ৪৮ রানে ব্যাট করছেন।
সাকিব-মুশফিক জুটিতে পঞ্চাশ
দুই ওপেনার হারানোর ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামলে নিচ্ছেন সাকিব ও মুশফিক। এর মধ্যেই এ জুটি পঞ্চাশ রান পার করেছে। ৫২ বলে এসেছে এ জুটির অর্ধশত। জুটিতে সাকিবের অবদান ২৮ ও মুশফিকের ২১ রান। ২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৯ রান। মুশফিক ৩৬ ও সাকিব ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের একশ পার
দ্রুত তামিম ও সৌম্যর বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সে চাপ উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যাট করছেন দেশের সেরা দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যেই দলের সংগ্রহ ১০০ পার করেছে দলটি। ১৬ ওভারে এলো দলীয় শতরান। প্রথম ৫০ রান ৭ ওভারে এলেও পরের পঞ্চাশ করতে ৯ ওভার লেগেছে টাইগারদের। ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৭ রান। সাকিব ৩৩ ও মুশফিক ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
তামিমের পর সৌম্যর বিদায়
আরও একটি বোলিং পরিবর্তন কাজে দিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কাগিসো রাবাদার জায়গায় বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই উইকেট পেলেন ক্রিস মরিস। বাংলাদেশের বড় স্কোরের ভিত গড়তে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করছিলেন সৌম্য সরকার। তবে আউট হলেন কিছুটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে। মরিসের বাউন্সারে পুল করতে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে বলে ঠিকভাবে না হওয়ায় কানায় লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ওঠে। সামনে দৌড়ে এসে দারুণ দক্ষতায় সে ক্যাচ লুফে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক।
দলীয় ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেছেন এ ওপেনার। সাকিবের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে তামিমকে ফেরাল প্রোটিয়ারা
বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল বেশ ভালো। লুঙ্গি এনগিডি ও কাগিসো রাবাদার করা প্রথম ৮ ওভার থেকে আসে ৫৮ রান। এরপর বোলিং পরিবর্তন আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতেই মিলেছে সাফল্য। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো। ২৯ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন তিনি। দলীয় ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ রান
প্রোটিয়া পেসারদের সামলে দেখে শুনেই ব্যাটিং শুরু করেছেন বংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তবে ধীরে ধীরে খোলস ভাঙছেন তারা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সৌম্য। লুঙ্গি এনগিডির সে ওভারে তিনটি চার মারেন তিনি। তার পরের ওভারের প্রথম দুই বলেও মারেন দুটি চার। শেষ বলে দারুণ একটি চার মারেন তামিমও। ৭ ওভার শেষে দলীয় অর্ধশত পূরণ করেছে দলটি। বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশে দুই পরিবর্তন
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে জোফরা আর্চারের বাউন্সারে চোট পাওয়া হাশিম আমলা এদিন খেলতে পারছেন না। তার পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন ডেভিড মিলার। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের জায়গায় ক্রিস মরিসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে দলটি। ফিটনেস ঘাটতি থাকায় ফিরতে পারেননি গতি তারকা ডেল স্টেইন।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক, আইডেন মার্করাম, ফাফ দু প্লেসি, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলার, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও ইমরান তাহির।
তামিম-সাইফুদ্দিনকে নিয়েই বাংলাদেশ একাদশ
অনুশীলনে চোট পাওয়ায় শঙ্কা ছিল অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত খেলছেন তিনি। তার সঙ্গী হিসেবে নামছেন সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে থাকা সৌম্য সরকার। শঙ্কায় ছিলেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। ফিটনেস টেস্ট উতরে একাদশে আছেন তিনি। সাত নম্বরে সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মধ্যে কাকে খেলাবেন এ নিয়ে দ্বিধায় ছিল ম্যানেজমেন্ট। অফস্পিন বোলিং করার সামর্থ্যের জন্য এগিয়ে থেকে একাদশে আছেন মোসাদ্দেক।
বাংলাদেশের একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস হেরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের আসর শুরু হয়েছে দিন তিনেক হলো। তবে আজই প্রথম মাঠে নামছে টাইগাররা। মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে, যাদের বিপক্ষে দারুণ জয় রয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপে। চলতি বিশ্বকাপেও এমন কিছুর প্রত্যাশায় বাংলাদেশ। তবে শুরুতে টস ভাগ্যটা সঙ্গে যায়নি। টস জিতে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। আগে বোলিং করবে দলটি। অর্থাৎ ব্যাটিং করবে টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
পিচ রিপোর্ট:
আতাহার আলি ও ইয়ান বিশপের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যাটিং করার জন্য উইকেট দারুণ। উইকেটে বাউন্স থাকবে। আগের ম্যাচের বোলারদের পায়ের কিছু মার্ক পিচে আছে। এটাকে বেশ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার করার ক্ষেত্রে এগুলো সহায়ক হবে। তবে ব্যাটসম্যানদের এটি অনুকূল উইকেট।
Comments