সাকিব-মুশফিক জুটিতে রেকর্ড
সৌম্য সরকার পাইয়ে দিয়েছিলেন দারুণ শুরু। ১২তম ওভারে যখন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম জুটি বাঁধেন তখন দল ঠিক বিপর্যয়ে নয় বটে, তবে ওই পরিস্থিতিতে দ্রুত আরেক উইকেট পড়ে গেলে ফ্যাসাদ বেঁধে যেত। দুজনেই তাই দায়িত্ব নিলেন। ঝুঁকি একদমই নিলেন না, আবার রানের চাকাও মন্থর হতে দিলেন না। তাতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি হয়ে গেল।
তৃতীয় উইকেটে সাকিব-মুশফিক ১৪২ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। ৮৪ বলে ৮ চার আর এক ছক্কায় ৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে আউট হয়ে ফেরত গেছেন সাকিব আল হাসান। এতেই ভেঙে গেছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের রেকর্ড একটি বিখ্যাত জয়ের ম্যাচে। ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারানোর দিন পঞ্চম উইকেটে ১৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেট জুটিতেও এটি এখন বাংলাদেশের রেকর্ড। এর আগে ২০১৫ সালেই ঢাকায় সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছিল ১৩৫ রানের জুটি।
বিশ্বকাপে আগের রেকর্ড জুটিতে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ছিলেন মুশফিক, এবার সাকিবের সঙ্গে জুটিতেও থাকলেন তিনি। রানও করছেন বলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সাকিব আউট হওয়ার সময় মুশফিকের রান ছিল ৬৯ বলে ৭১। এর মধ্যে মেরেছেন চোখ ধাঁধানো ৮ চার। সাকিব ফেরার পর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা। কিন্তু মিঠুনের পর তিনিও ফিরেছেন দ্রুত। স্লগ ওভারে পেটাতে গিয়ে আন্দেলো ফেহলেকুয়ের বলে শেষ হয়েছে তার ৮০ বলে ৭৮ রানের ইনিংস।
১৪২ রানের জুটি গড়তে একদম বল নষ্ট করেননি তারা। ১৪১ বলেই এসেছে এই রান। প্রোটিয়া পেসারদের দুজনেই সামলেছেন দারুণভাবে। চেপে বসতে দেননি স্পিনারদের। ফাঁকা জায়গা বের করে নিয়েছেন সিঙ্গেল। বাউন্ডারি এসেছে নিয়মিতই। তবে তার জন্য বাড়তি খাটুনি করতে হয়নি। স্কিলের মুন্সিয়ানায় বল সীমানা পার করে এগিয়েছেন ঝুঁকিহীনভাবে।
তবে জুটিটা যখন আরও বিপজ্জনক দিকে এগুচ্ছিল, তখনই গড়বড় হয়ে যায় সাকিবের। ইমরান তাহিরের সোজা ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। বল সোজা আঘাত হানে স্টাম্পে।
Comments