বৃষ্টি বাধার আগে বড় চাপে শ্রীলঙ্কা
প্রথম ম্যাচে বিবর্ণ হারের পর এদিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। যেন ভিন্ন শ্রীলঙ্কাই মাঠে নেমেছিল। মাত্র ১৩ ওভারে ওপেনিং জুটিতে আসে ৯২ রান। এরপরও দ্বিতীয় উইকেটেও ভালো জুটি আসে। কিন্তু এরপর কি যেন হয়ে যায় দলটির। মোহাম্মদ নবির এক ওভারেই নেই তিন উইকেট। ফলে বড় চাপে পড়েছে দলটি। তবে ম্যাচের ৩৩ ওভার শেষ আসে বৃষ্টি। তাতে বন্ধ রয়েছে খেলা।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও অধিনায়ক দিমুথ কারুনারাত্নে। বড় কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যাট করে চলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। সিঙ্গেলসের উপর খেলে মাঝে মধ্যেই মারছিলেন বাউন্ডারি। ফলে প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান চলে আসে বিনা উইকেটে ৭৯।
লঙ্কানদের ধারাবাহিকতা থামিয়েছেন মোহাম্মদ নবি। নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই লঙ্কান অধিনায়ককে ফেরান তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে লাহিরু থিরিমান্নেকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুশল পেরেরা। গড়েন ৫২ রানের দারুণ এক জুটি। এ জুটিও ভাঙেন নবি। থিরিমান্নেকে বোল্ড করেন তিনি। কিন্তু এরপর যা করলেন নবি, তা দারুণ চমৎকারই বটে। শ্রীলঙ্কার আরেক সেরা ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিসকে তো আউট করেনই, ফিরিয়ে দেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে। দুজনকেই স্লিপে রহমত শাহর তালুবন্দি করান নবি। লঙ্কানরা ২ রানে হারায় ৩ উইকেট। ১ উইকেটে ১৪৪ রান তোলা দলটি পরিণত হয় ৪ উইকেটে ১৪৬ রানে।
নবির দেখানো পথে যেন আগ্রাসী হয়ে যান দলের বাকি সবাই-ই। পরের ওভারে আঘাত হানেন পেসার হামিদ হাসান। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে খালি হাতে ফেরান তিনি।
তবে লঙ্কানরা সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় এর দুই ওভার পরে। এবার রানআউট হন থিসারা পেরেরা। ছন্দে থাকা এ ব্যাটসম্যানকে হারানোয় লেজ বেড়িয়ে আসে দলটির। তবে এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান কুশল পেরেরা। লঙ্কানদের বড় ইনিংসের স্বপ্ন ধরে রেখে দারুণ ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু রশিদ খানের বলে হঠাৎ মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। তার কুইকারে রিভার্স সুইপ করতে গেলে মোহাম্মদ শাহজাদের তালুবন্দি হন ৮১ বলে ৭৮ রান করা কুশল পেরেরা।
ফলে বড় বিপদে পড়ে যায় দলটি। সে ওভার শেষেই নামে বৃষ্টি। ৩৩ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৮২ রান করে দলটি। ৯ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নিয়েছেন নবি।
Comments