অঞ্জু ঘোষ কোন দেশের নাগরিক?

Anju Ghosh
সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক এবং তার জন্মসনদ, ভারতীয় পাসপোর্ট এবং ভোটার কার্ড রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ছবি: স্টার

অঞ্জু ঘোষ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই কলকাতার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

বাংলাদেশি অভিনেত্রী হয়েও কী করে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হলেন সেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে বিজেপির দাবি, জন্মসূত্রে অঞ্জু ঘোষ ভারতীয় নাগরিক এবং তার জন্মসনদ, ভারতীয় পাসপোর্ট এবং ভোটার কার্ড রয়েছে।

ভোটের সময় দুজন বাংলাদেশি অভিনেতা তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন। তার জন্য  ভারত থেকে তাদের শুধু বের করে দেওয়াই হয়নি বরং সূত্রের খবর, ভারতীয় ভিসার ক্ষেত্রে তাদের “সংরক্ষিত” হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ঠিক এমন এক বাস্তবতায় মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতায় রাজ্য বিজেপি দপ্তরে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন অঞ্জু ঘোষ। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।

এদিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি যাকে খুশি দলে নিচ্ছেন এমন কি তার নাগরিকত্বও দেখছে না। কলকাতার মেয়রের এমন বক্তব্য শোনার পরই দ্রুত বিজেপি রাজ্য দপ্তরে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অঞ্জু ঘোষের জন্ম সনদ যা কলকাতা করপোরেশন থেকে ২০০৩ সালে রেজিস্টার করা রয়েছে সেটা প্রকাশ করেন। একই ভাবে অভিনেত্রীর পাসপোর্ট, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের ফটোকপিও সাংবাদিকদের বিলি করা হয়।

এ সময় বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, তৃণমূল এতো নিচে নেমে গিয়েছে যে তারা কিছু না বুঝেই বিতর্ক উসকে দিচ্ছে। জন্ম সনদটি ভুয়া কিনা সেটা তো তৃণমূল কংগ্রেসই বুঝতে পারবে। কারণ তৃণমূলের মেয়র সুব্রত মুখার্জির সময়ই এই বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল। ফলে বিজেপির থেকে তৃণমূল ভালো বুঝতে পারবে যে অঞ্জু ঘোষ কোন দেশের নাগরিক। আর সে যে ভারতীয় সেটা প্রমাণ হয় তার এই সব কাগজপত্রে। তাই এ নিয়ে আর বিতর্ক না করার জন্যই তিনি সব দল এবং গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান।

প্রসঙ্গত, অঞ্জু ঘোষ বাংলাদেশি অভিনেত্রী হিসাবেই পরিচিত। এমন কি তার অভিনীত অধিকাংশ চলচ্চিত্রই বাংলাদেশের। এর মধ্যে রয়েছে ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’। যদিও ওই চলচ্চিত্রটি দুই বাংলাতেই সমান দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

One-stop crisis centre: Conviction in less than 2pc cases

The one-stop crisis centres are supposed to provide comprehensive support to women and children victims of violence, offering healthcare, police assistance, legal aid and other services.

6h ago