নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় ১৫ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব-১১। এ ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। ওই নারীর নাম মিনু আক্তার (৩৫)।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মুনজিলখোলা এলাকায় বালু খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মিনু আক্তার একই এলাকার হাসেম আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় যাকে আটক করা হয়েছে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হরিপুর এলাকার সৈয়দ রফিক উদ্দিনে ছেলে জুনায়েদ আহমেদ (৪৫)।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী শমসের উদ্দিন জানান, গত ২১ মে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মিনু আক্তার। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে তার মা মনোয়ারা বেগম ২৩ মে সোনারগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। এরপরই নিখোঁজ মিনুর সন্ধানে অভিযানে নামে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ মিনুর কোনো হদিস না পাওয়ায় পরে বিষয়টি র্যাব-১১ কে অবহিত করে তার পরিবার। র্যাব জিডির তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ৬ জুন রাত ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে মিনুর সাবেক স্বামী জুনায়েদকে (৪৫) আটক করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ জানান, ২০১৬ সালে মিনুর সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয় এবং ২০১৮ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদও হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রী রাতে তার কর্মক্ষেত্রে চলে গেলে মিনুর সঙ্গে রাত্রি যাপন করতেন জুনায়েদ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে আনুমানিক রাত ৩টায় জুনায়েদ মিনুকে ফোন দিয়ে তার ভাড়া বাসায় আসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর মিনু তার বাসায় আসলে জুনায়েদ তাকে ধর্ষণ করেন। মিনু পরে ঈদের মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করলে জুনায়েদ তাকে চড় মারেন। এক পর্যায়ে জুনায়েদ ঘরের মধ্যে থাকা একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে মিনুর মাথায় আঘাত করেন। মিনু ঘরের মেঝেতে পড়ে গেলে জুনায়েদ গলা টিপে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন।
হত্যার পর রাত ৪ টায় মিনুর লাশ রশি দিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুরের কচুরিপানার ভিতরে রেখে আসেন জুনায়েদ। সকালে কর্মস্থলে চলে যান তিনি। এর পরদিন আনুমানিক রাত ১০টায় কচুরিপানা থেকে মিনুর মরদেহ তুলে পাশে ড্রেজারে বালি ফেলার একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে গর্ত করে লাশ গুম করার চেষ্টা করেন। এই তথ্য অনুযায়ী পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
Comments