বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৩ ছাত্রী

স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মানিকগঞ্জে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল তিন ছাত্রী। শুক্রবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে বন্ধ হয়।
প্রতীকী ছবি

স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মানিকগঞ্জে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল তিন ছাত্রী। শুক্রবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে বন্ধ হয়।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জেলার হরিরামপুর উপজেলায় দুই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুটি বিয়েই হচ্ছিল উপজেলা কালই গ্রামে। ওই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর (১৩) সঙ্গে একই উপজেলার মালুচি গ্রামের নূর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিয়াস মেহেদী বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।

ওই গ্রামেরই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর (১৭) সঙ্গে উপজেলার ধূসরিয়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ কনের বাড়ি থেকে উভয় পক্ষের লোকজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদেরকে হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় ভ্রমমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও ইলিয়াস মেহেদী আবু হানিফকে (কনের বাবা) সাত দিন এবং বর দেলোয়ারকে সাত দিন কারাদণ্ড দেন।

ইউএনও ইলিয়াস মেহেদী বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর (কনে) বাড়িতে বরপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। কনের বাবা ইউনুস আলীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া শুক্রবার দুপুরে জেলা সদরের গিলন্ড গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। গতকাল তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ওই বিয়ে বন্ধ করে দেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন সরকার বলেন, স্থানীয় নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাকিব হোসেনকে ওই বাড়িতে পাঠিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

41m ago