চীন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী, আলোচনা হবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে

ত্রিদেশীয় সফর শেষে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে তিনি চীন সফরে যাবেন।

আজ রোববার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করে গতকাল শনিবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। আজ তিনি ওই সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান, চীন সরকারসহ বিভিন্ন সরকারের সহায়তা আছে। সমস্যা হলো মিয়ানমারকে নিয়ে। সবাই চায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরুক। মিয়ানমার নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা। এই সংকট নিরসনে চীনের দিক থেকে সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী।

পাসপোর্ট সঙ্গে না নিয়েই বিমানের পাইলটের কাতার যাওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখনই বিমানে উঠি, তখনই একটি ঘটনা ঘটে বা একটি নিউজ হয়। এটি কেন হয় আমি জানি না। এখন সবাই আবার ভিআইপি, ভিভিআইপি এরপর আবার আরও ‘ভি’ লাগবে। যত ‘ভি’ লাগুক, ইমিগ্রেশনে এরপর আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, হয়তো পাসপোর্ট (নেওয়া) ভুলে যেতে পারে, পাসপোর্ট (নিতে) ভোলা কোনো ব্যাপার না। এখানে ইমিগ্রেশনে যারা ছিল, তাদের তো এই নজরটা থাকতে হবে। তারা কেন সেটি চেক করেনি, দেখেনি? আমরা এখন ইমিগ্রেশনে খুব কড়াকড়ি করতে বলেছি।

আরও পড়ুন: আজ হোক কাল হোক, তারেক রহমানের সাজা কার্যকর হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের কিছু কিছু জায়গা শুধু বিদেশিদের জন্য রাখার পরিকল্পনা করছে। এটা করা হলে দেশের পর্যটন খাত সমৃদ্ধ হবে।

কক্সবাজারের বিমানবন্দর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কক্সবাজারের বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। এটি আন্তর্জাতিক রুটগুলোকে সংযোগ করবে।”

প্রধানমন্ত্রী ত্রিদেশীয় সফরের শুরুতে ২৮ মে জাপানের রাজধানী টোকিও যান। সেখানে চার দিনের সফরে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে বৈঠকের পর দুই দেশ আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৪০তম ওডিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ‘ফিউচার ফর এশিয়া’ বিষয়ক নিক্কেই সম্মেলনে যোগ দেন। পাশাপাশি হলি আর্টিজান হামলায় হতাহতদের পরিবার এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা শেখ হাসিনার সাথে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।

টোকিও থেকে সৌদি আরবে তিন দিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।

৩ জুন ত্রিদেশীয় সফরের তৃতীয় ও চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে ফিনল্যান্ড পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি ৪ জুন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ৫ জুন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন।

১২ দিনের সফর শেষে গতকাল শনিবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigation officers can now arrest accused and suspects

The International Crimes Tribunal-1 today published a gazette in this regard

49m ago