পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি: মমতা

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জেলাস্তরের কিছু পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাদের বিষয়ে রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালককে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
mamata banerjee
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জেলাস্তরের কিছু পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাদের বিষয়ে রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালককে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় এক জরুরি বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল রাতে তার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “তার সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি।”

এসময়, আইনশৃঙ্খলা অবনতির কথা বলে রাজ্যকে অপমান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।

মমতার ভাষ্যে, “মনে রাখবেন জখম বাঘ কিন্তু আরও ভয়ঙ্কর। লোকসভা আর বিধানসভা ভোট কিন্তু এক নয়। কোনও ষড়যন্ত্রে মাথা নত করবো না।”

মমতা বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের উস্কানি চলছে। দার্জিলিং, জঙ্গলমহল আবার অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা ওদের গেমপ্ল্যান। সরকার ভাঙার চক্রান্ত।”

মুখ্যমন্ত্রী এই ষড়যন্ত্রের জন্য সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেছেন।

এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, “রাজ্যের অনেক জেলার পুলিশ কথা শুনছে না। তারা নিজেদের মতো করে ভারসাম্য রক্ষা করে কাজ করছে।”

এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি জানান, জনগণের রায় মেনে মমতার এমনিতেই পদত্যাগ করা উচিৎ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। বিজেপি নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে ধরে ধরে গুলি করে মারা হচ্ছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফলে তার এই দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিৎ।

এদিকে, রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেখানে বিস্তারিতভাবে তিনভাগে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

রিপোর্টের একাংশে ভোটের আগে নির্বাচন প্রচারের সময় রাজ্যে সহিংসতার তথ্য, অপর অংশে ভোটের সময় রাজ্যের অশান্তির তথ্য এবং শেষ অংশে ফল প্রকাশের পর রাজ্যের চরম রাজনৈতিক সহিংসতার তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়, এবার সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী।

নানা মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বর্তমান রাজ্যটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার কঠোর কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যদিও সেই সিদ্ধান্তটি অবশ্যই সংবিধান সম্মত হতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago