‘নর্থব্রুক হল’ কি হারিয়ে যাবে?
বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনামলে নির্মিত ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান ও ভবনগুলোর মধ্যে ঢাকার ফরাশগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত লালকুঠি হিসেবে পরিচিত ‘নর্থব্রুক হল’ অন্যতম।
১৮৭৪ সালে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুকের ঢাকা সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে ঢাকার প্রখ্যাত ধনী ব্যক্তি ও জমিদারগণ ‘টাউন হল’ ধাঁচের একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
১৮৭৯ সালে নর্থব্রুক হলের নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং ঢাকার তৎকালীন কমিশনার ১৮৮০ সালের ২৪ মে নর্থব্রুক হলের উদ্বোধন করেন।
পরবর্তীতে নর্থব্রুক হলকে গণগ্রন্থাগারে রূপান্তরিত করা হয় এবং ১৮৮২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নর্থব্রুক হলের সঙ্গে ‘জনসন হল’ নামে একটি ক্লাবঘর মতান্তরে গণপাঠাগার সংযুক্ত করা হয়। যদিও তা ‘নর্থব্রুক হল লাইব্রেরি’ নামেই খ্যাত ছিলো। পাঠাগারটির সংগ্রহের খুব সুনাম ছিলো।
প্রথমে এক হাজার বই নিয়ে ১৮৮৭ সালে পাঠাগারটি খোলা হয়। এই পাঠাগারের জন্য নাকি বিলেত থেকে বই এনে সংগ্রহ করা হয়েছিলো। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাঠাগারের অনেক বই নষ্ট হয়ে যায়।
Comments