মাঠের আকৃতির কারণেই একাদশে আসবে বদল?
এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে ছোট মাঠ নাকি টন্টন। সামারসেট কাউন্টি ক্লাবের মাঠ ঢুকে অবশ্য সব দিক থেকেই এটাকে একদমই ছোট্ট মনে হলো না। বরং সোজা বাউন্ডারি ব্রিস্টলের থেকেও খানিকটা বড়। তবে স্কয়ারের দিকে বাউন্ডারি আসলেই বেশ ছোট। এই মাঠে স্পিনারদের থাকবে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ। পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ জানালেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একাদশেও প্রভাব রাখতে পারে মাঠের আকার।
শুক্রবারই প্রথম টন্টনের মাঠে প্রবেশ করে বাংলাদেশ দল। ফিল্ডিং অনুশীলনের আগে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিমদের মাঠের চারপাশ খুঁটিয়ে দেখতে দেখা যায়।
তার আগে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ মাঠের আকার দেখে সংবাদ মাধ্যমকে ইঙ্গিত দেন একাদশে বদলের ‘মাঠের আকৃতির কারণে আমাদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা আর কৌশল সাজাতে হবে। এটা বেশ ছোট মাঠ। আমাদেরকে আরও ধারালো আর ধারাবাহিক হতে হবে। চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’
প্রথম তিন ম্যাচে তিনজন পেসার খেলিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার পেসার খেলানোর কথা থাকলেও বৃষ্টিতে ওই ম্যাচই ভেস্তে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উইকেটের কন্ডিশন আর মাঠের আকারের কারণে চার পেসার খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে দলে আসতে পারেন রুবেল হোসেন। তবে তাকে জায়গা দিতে কাকে বসানো হবে তা নিশ্চিত নয়।
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে বসানোর আলাপ থাকলেও, ক্যারিবিয়ান দলে বাঁহাতিদের ছড়াছড়ি থাকায় মিরাজের ব্যাপারে হয়ত সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগবে টিম ম্যানেজমেন্টের। সেক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যান কম খেলিয়ে বোলিং শক্তি বাড়ানোর অপশনও খোলা থাকছে।
বাংলাদেশ চার পেসার খেলাবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে ক্যারিবিয়ানরা অত ঝামেলায় নেই। হারুক-জিতুক চার পেসার খেলিয়েই যাচ্ছে তারা। তবে অমনটা হলেও সমস্যার কিছু দেখছেন না ওয়ালশ, ‘নতুন বলে যেকোনো দলের বিপক্ষেই ব্যাট করা কঠিন। কিন্তু আমার মনে হয় না এটা অনেক কঠিন কিছু হবে। উইকেট ঢাকা আছে কাজেই প্রথম কয়েক ওভারে যেকোনো কিছুই হতে পারে।’
বাংলাদেশের বোলিং কোচ অবশ্য বড় রানের ম্যাচই আশা করছেন। তাতে নিজেদের ভাণ্ডারে জমা থাকা রসদেই আশাবাদ তার, ‘সাধারণত এখানে বড় রানের ম্যাচ হয়। আমরাও তেমনটা আশা করছি। আমাদের এই পরিস্থিতিতে ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত রসদ আছে। উইকেট নিয়ে আমরা ভীত নই। একবার ভালো শুরু পেলে, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
Comments