রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, তিস্তা চুক্তি, সীমান্তে হত্যা বন্ধে সহযোগিতার আশ্বাস ভারতের
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।
আজ (১৫ জুন) বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে জয়শংকরের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে, তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করলে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
কনফারেন্স অন ইন্টার্যাকশন এন্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারর্স ইন এশিয়া (সিআইসিএ)- এর পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে দুশানবেতে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে অবস্থান করছেন ড. আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ব ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সমাধান করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন, তা বিশ্বের অপরাপর দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
এ সময় তিনি ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকরকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রায় একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে জয়শংকরের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে ভারতকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
উত্তরে জয়শংকর বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদি সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করেছে।
“ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার (গেটওয়ে) হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূকৌশলগত সুবিধা”-র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআইএমএসটিইসি-কে শক্তিশালী করলে তা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ভারত আঞ্চলিক সংযোগের ওপর সমধিক গুরুত্বারোপ করে থাকে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে ড. এস. জয়শংকর বাংলাদেশ সফরে আশার কথা ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে বলে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
Comments